সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: রাগের চোটে আঙুলে কামড় (Finger Bitten In Brawl)? গল্পকথা নয়, বাস্তবে এমনই ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinjapur News) জেলার রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের পোয়ালতোর বাজার এলাকায়। অভিযুক্তের নাম রবি বর্মন। তিনি এসএসবি-র জওয়ান বলে দাবি স্থানীয় সূত্রে। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু রায়ের সঙ্গে বচসা চলাকালীন আচমকাই তাঁর আঙুলে কামড় দেওয়ার অভিযোগে তুমুল হইচই তৈরি হয় এলাকায়। যদিও রবির অভিযোগ, পাল্টা তাঁক মুখেও কামড় বসিয়েছেন মিঠু।


কী ঘটেছিল?
বুধবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোয়ালতোর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক মিঠু রায় প্রতিদিনের মতো সে দিনও বাজারে এসেছিলেন। সে সময়ই পাশের গ্রাম, চ্যাংডুলি পার্ধাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রবি বর্মনের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। দু'জন পূর্বপরিচিত বলে জেনেছে পুলিশ। কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। হঠাৎ ছন্দপতন। কোন কথা যেন দু'জনের মধ্যে বচসা লেগে যায়। দেখতে দেখতে তর্কাতর্কি মারামারির রূপ নেয় বলে অভিযোগ। সেই সময়ই মিঠুর ডান হাতের বুড়ো আঙুল কামড়ে কেটে ফেলেন পেশায় এসএসবি জওয়ান রবি বর্মন, এমনই অভিযোগ। পালটা রবি বর্মনের মুখেও কামড় বসান মিঠু, দাবি এরকমও। গোচা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন এসে তাঁদের প্রথমে রায়গঞ্জ থানায় এবং পরে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। জখম দু'জনই রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উভয়পক্ষই রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। আপাতত এই কামড়-পর্ব ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার পরিবেশ। স্থানীয়দের প্রশ্ন, কী এমন ঘটেছিল যে আঙুল কামড়ে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হল? জবাবে মুখেই বা কামড় বসাতে হল কেন? এখনও স্পষ্ট উত্তর নেই। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


রাজধানীতে চেনা ঘটনা...
বছরছয়েক আগে কিছুটা একই ধরনের একটি ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল নানা মহলে। সে বার রাস্তার ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য ২৯ বছরের গাড়ির চালকের নাক কামড়ে টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লির নভেলটি সিনেমার সামনের রাস্তায় ২০১৭ সালের  ২৩ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাত নটা নাগাদ এসপিএম মার্গ থেকে বাবার সঙ্গে দোকান থেকে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী আমন। পথে ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে তিনি গাড়ি ঘোরাচ্ছিলেন। এই সময়ই বিশাল পান্ডে, ধীরজ ও বিপিন মেহরা নামে তিন ব্যক্তি গাড়িটি থামায়। ওই তিনজন আমনের কাছে জানতে চান, এভাবে রাস্তার উল্টো দিকে তিনি কেন গাড়ি চালাচ্ছেন। আমন বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশাল, ধীরজ ও বিপিন আমনের যুক্তি মানতে চাননি। দুই পক্ষের তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায়। বিশালরা আমনকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে ধীরজ আমনের নাকে কামড় বসান। এতে তাঁর নাকের মাংস উঠে আসে বলে এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের দাবি।


 


আরও পড়ুন:বদলি বিডিও, বিদায়ী মঞ্চে কান্না তৃণমূল বিধায়কের ! খোঁচা বিরোধীদের