শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নিউ কদমতলা এলাকায় ভয়াবহ আগুন। গ্রাসে প্রাণ। আরও ভয়ঙ্কর খবর বয়ে আনতে পারে এই অগ্নিকাণ্ড।
মঙ্গলবার কোচবিহারে একটি ৫ তলা বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। আটকা পড়ে ঝলসে যান দুজন। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালে ৫ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়া বেরতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু ততক্ষণে হয়ত সব শেষই হয়ে গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। এরপর দমকল কর্মীরা দরজা ভেঙে সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই বাড়ির ৫ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন মা ও ছেলে । কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নারকেলডাঙায় দোতলা বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পরপর দুটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা বাড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় দমকল কর্মীদের। শেষপর্যন্ত ৮টি ইঞ্জিনের দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সম্ভবত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। দমকল সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হননি। তবে কোচবিহারে এই অগ্নিকাণ্ডের উৎস কী, তা এখনও জানা যায়নি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির হটুগঞ্জ বাজারে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ৪-৫টি দোকান। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হটুগঞ্জ বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে। কেউ টের পাওয়ার আগেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় পরপর কয়েকটি দোকান। স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়ে যায় ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন :
জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বালুরঘাটে শশী পাঁজা, হল ম্যারাথন বৈঠক