শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিনহাটার দিঘল তারিতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য (Dead body Rescue)। সাহেবগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে সীমান্তের কাছেই মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, পুলিশের অনুমান, মৃত ব্যক্তি 'গরু পাচারকারী।' তবে পাচার সময় বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কিনা ? এনিয়ে আশঙ্কা স্থানীয়দের। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। বিএসএফের তরফ থেকেও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


মূলত অতীতে এমন একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ঘটনা।বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কম বিতর্ক হয়নি। গতবছর পুজোর আগে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল,  রাতের বেলা অজ্ঞাত পরিচয় ওই পাচারকারীরা বর্ডারের ফেনসিনের তার কাটছিল। বিএসএফের নজরে আসতেই বিএসএফ প্রতিরোধ করে। তখন পাচারকারীরা বিএসএফের ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। পালটা বিএসএফ গুলি চালালে এক অজ্ঞাত পরিচয় পাচারকারীর মৃত্যু হয়।  


বাইশ সালেও এমন ঘটনার সাক্ষী রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ১৭ মার্চ কোচবিহারেরই মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। অনুপ্রবেশ রুখতে গুলি বিএসএফ গুলি চালাতে হয় বলে সেই সময়  জানানো হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে চোরাচালান সংযোগও তুলে ধরা হয়।এর পর ১০ এপ্রিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফ-এর গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়।


কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁরা গরুপাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়। সে বার বাংলার নাগরিকদের উপর বিএসএফ জুলুম করছে বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর অভিযোগ ছিল, সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেও জুলুম করা হয়। এমনকি তাঁদের মতো নেতারাও বিএসএফ-এর জুলম থেকে ছাড় পান না বলে দাবি করেন উদয়ন।


আরও পড়ুন, সন্দেশখালিকাণ্ডের ৪ দিন পার, কোথায় শেখ শাহাজাহান? দিলীপ ঘোষ বললেন..