কলকাতা: ৪দিন পার, সন্দেশখালিতে হামলার (Sandeshkhali Incident) মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান (Sheikh Sajahan) এখনও অধরা! রাজ্যের ভূমিকায় রুষ্ট রাজ্যপাল। কোথায় শেখ শাহাজাহান? সীমান্ত পার করে পগারপার? নাকি ভারতেই? শহরে ইডি প্রধান রাহুল নবীন। কীসের ইঙ্গিত? নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


এনিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অসম্ভব কিছু না। ওপাশ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের গাড়ি ভর্তি করে এনে ক্যাম্প করেছেন ওখানে। ওখান থেকে সুন্দরবনের দ্বীপ দিয়ে যাওয়া কোনও ব্যাপার না। বহু দ্বীপ আছে সেখানে। আমি তো শুনলাম বাসন্তী এসে কোনও নেতার বাড়িতে লুকিয়ে আছে। জানি না কতটা সত্য ? রাজ্য সরকারের দেখা উচিত সরকার তাকে আশ্রয় দিচ্ছে।এই সরকারের কাছে কিছু আশা করা যায় না।ওটা এমন জায়গা কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী পাঠিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু করতে হবে কারণ এই ধরণের নেতারা রাজনীতি এবং সমাজকে অর্থনীতিকে কলুষিত করছে ধ্বংস করছে।'


অপরদিকে, সন্দেশখালি, বনগাঁয় হামলার পর, আজ ইডি-র আধিকারিকদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠক ইডি ডিরেক্টরের। বৈঠক করবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এই বৈঠকে ইডি-র জোন ওয়ান ও জোন টু-য়ের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি, বনগাঁয় হামলা প্রসঙ্গ ছাড়াও রেশন দুর্নীতি মামলার অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে, খবর সূত্রের।


এই ইস্যুতে দিলীপ আরও বলেন, 'কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। গুলি ছেড়ে দিন, একটা পাথর মারারও লোক নেই সেখানে। কিন্তু পশ্চিম বাংলা এবং পশ্চিমবাংলার সীমা যেভাবে উপদ্রুত এলাকা হয়ে যাচ্ছে। যেখানে আইনশৃঙ্খলা নেই । সরকারের উপস্থিতি নেই। পুলিশ প্রশাসনের দেখা নেই। সেন্ট্রাল এজেন্সির লোককে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পালাতে হচ্ছে। তো ভাবুন এটা বাংলাদেশ হয়ে গেছে? নাকি পশ্চিমবাংলা আছে ?
যে সরকার এখানে আছে , সেই সরকার যদি দেশবিরোধী ক্রিয়া-কলাপকে সমর্থন দেয়, আশ্রয় দেয়। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গ আর কতদিন ভারতবর্ষের সঙ্গে থাকবে?'


আরও পড়ুন, 'ব্রিগেড লালে লাল', ফের সোশ্যাল পোস্টে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন অনুপম হাজরা!


অপরদিকে সন্দেশখালির পর বনগাঁ। বারবার আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের বুকে ইডি-সিআরপিএফ। এই ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গত নির্বাচনের সময় কোচবিহারের শীতল কুচিতে ও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। বিএসএফের থেকে বন্দুক ছিনতাই করতে এসেছিল। গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল। ঘটনাটা বড় কথা নয়। কিন্তু তার পেছনে যে ব্যাকগ্রাউন্ড আছে কোন অবস্থায় আছে আমাদের সীমান্ত? কারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ? এই সমস্ত এলাকায় সিএএ লাগু হওয়ার পর আগুন জ্বলেছে। সরকারি সম্পত্তি জ্বালানো হয়েছে। মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে। তো ক্রমশ হিন্দু শূন্য হয়ে যাচ্ছে। যে বিরোধী কার্যকলাপ যারা করে, তাঁদের রমরমা আর সরকারি সম্পত্তি লুট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। এই যে একেকজনের  বড় বড় বাড়ি -গাড়ি । এত টাকা আসছে কী করে? এই যে খোলা ভাবে এদিকে ড্রাগ আসছে ওদিকে সোনা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা দেশের সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে।'