শুভেন্দু ভট্টাচার্য,কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কোচবিহারে ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল (TMC)। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে, এবার এই ২৩টি এলাকায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শাসক দল। ইতিমধ্যেই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। যদিও তাতে আমল দিতে নারাজ বিজেপি (BJP)। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের দাপট। কিন্তু তার মধ্যেও তৃণমূলের চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গা। এবারের ভোটে কোচবিহারের ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০৫টিই গেছে তৃণমূলের দখলে। বিজেপি জয়ী হয়েছে ২৩টি পঞ্চায়েতে, আর উদ্বেগের বিষয় হল, এই সংখ্য়াটা ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে ছিল মাত্র এক। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে সংখ্য়ার নিরিখে আরও ২২টি পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে, এই ২৩টি পঞ্চায়েতে শক্তি বাড়ানোই এবার তৃণমূলের টার্গেট। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের - শালবাড়ি ১, শালবাড়ি ২, বারোকোদালি ১, বারোকোদালি ২- এই ৪টি পঞ্চায়েতই এবার বিজেপি দখল করেছে। সোমবার, শালবাড়ি ১ পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে এই চার জায়গাতেই তৃণমূলের অঞ্চল কমিটি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।


সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠে আসে। তৃণমূলের হারের নেপথ্যে দলীয় বিবাদকেই দায়ী করছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে ড্য়ামেজ কন্ট্রোল করতে এই চার অঞ্চলে তৃণমূলের কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। কোচবিহার  তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, কমিটি ভেঙে দিলাম। নতুন কমিটির জন্য নাম সংগ্রহ করছি। ৭ মাস পর লোকসভা। এখানে নির্বাচনী কমিটি থাকবে। লক্ষ্য ২৪। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। কোচবিহার বিজেপি জেলা সহ সভানেত্রী দীপা চক্রবর্তী বলেন, কোচবিহারে তৃণমূল যা করছে মানুষ অতীষ্ঠ। যেই কমিটি করুক যাই করুক, কিছু হবে না। 


আরও পড়ুন, দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল, গ্রামে ফিরতেই অভিযুক্তের ছেলেকে গণধোলাই


 ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জেলার ৯টি আসনের মধ্যে ৬টিই যায় বিজেপির দখলে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ২০১৮-র নিরিখে কোচবিহারে অপেক্ষাকৃত ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। চব্বিশের লোকসভা ভোটে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তৃণমূল? সেটাই এখন দেখার।