উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের (Duttapukur Incident) পর এখনও কাটেনি আতঙ্ক। তারই মাঝে ট্রাকে করে বাজি পাচারের পর্দাফাঁস করল এসটিএফ। আমডাঙায় ৩ ট্রাক ভর্তি শব্দ বাজি বাজেয়াপ্ত করল এসটিএফ (STF)।
ঘোলায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২ ট্রাক নিষিদ্ধ বাজি
ঘোলায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২ ট্রাক নিষিদ্ধ বাজি। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ২ জন। আমডাঙা, ঘোলা মিলিয়ে মোট ৫০ টন নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত শব্দবাজির আনুমানিক মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর বাজি পাচার করা হচ্ছিল, অনুমান এসটিএফের।
দত্তপুকুরে ১ হাজার ৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার
দত্তপুকুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর কড়া পদক্ষেপ পুলিশের (Police)। সম্প্রতি দত্তপুকুরের মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ৫-৬টি গাড়ি করে উদ্ধার হওয়া বাজি নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।বাজি উদ্ধারে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি FIR-এ নাম থাকা রমজান আলি ওরফে কালোর খোঁজ করছে পুলিশ। মূল অভিযোগকারী প্রভাস চক্রবর্তীর অভিযোগে নাম রয়েছে এই ISF কর্মীর। তাঁর বিরুদ্ধে কেরামত আলির সঙ্গে যোগসাজশে বেআইনি বাজি কারবারে মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে।
বারাসাত পর্যন্ত শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে দত্তপুকুরের মোচপোল (Duttapukur incident)। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণে উড়ে যায় প্রায় আস্ত একটা বাড়ি। ছিন্নভিন্ন দেহাংশ ছিটকে পড়ে প্রায় ২০০ মিটার দূরে। কারও কারও হাত-পা উড়ে যায়। আগুনে ঝলসে যান বেশ কয়েকজন। অনেকেই বলছেন, কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসাত পর্যন্ত শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণস্থলে নীল ড্রামে মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Amoneium Nitrate) ও পটাসিয়াম ক্লোরেট (Potassium Cloret)। বাজি কারখানার অদূরে হদিশ মিলেছে ল্য়াবরেটরিরও। এই প্রেক্ষাপটে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে RDX ব্যবহার হয়েছে বলে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ।
আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে BJP-র মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার শহরে
অভিযোগ উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও
পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও। স্থানীয়দের অভিযোগ, 'শুধু পুলিশের তোলা আর তৃণমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছিল। আগে কাটমানি ১০ হাজার হলে, এখন ২০ হাজার। আগে ৫০ হাজার নিলে, এখন এক লাখ। পঞ্চায়েতের পাশে কার্যত এটিএম খুলেছিল পুলিশ। ফাঁড়িতে পৌঁছে যেত তোলার টাকা।'