শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : প্রকাশ্য মঞ্চে যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়লেন দুই তৃণমূল (TMC) নেতা। কোচবিহারের (Cooch Behar) কীমাথাভাঙায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার। কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
একাধিক জায়গায় প্রকাশ্যে বিবাদ
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার পর কোচবিহারের মাথাভাঙা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে ফের তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে সামনে এসে পড়ল দলের কোন্দল। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেই বচসায় জড়ালেন দুই তৃণমূল নেতা। এক নেতা রীতিমতো তেড়ে গেলেন আরেক নেতার দিকে। শেষমেশ তৃণমূল কর্মীরা মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে গেলেন দলের নেতাকে। আর গোটাটাই ঘটল যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের সামনে।
ঠিক কী ঘটেছে
মঙ্গলবার মাথাভাঙায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ। সেসময় তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সহ সভাপতি নজরুল হক সম্পর্কে একটি উক্তি করেন। এরপরই আব্দুল জলিলের দিকে তেড়ে যান। মঞ্চেই বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই তৃণমূল নেতা। সেসময়, মঞ্চে উপস্থিত হন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর সামনেই চলে দুই নেতার বচসা।
কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত
কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে নাম না করে দলেরই বিধায়ককে নিশানা করেন যুব তৃণমূল নেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরেও তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। এবার মাথাভাঙার ঘটনা। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার কথা জানিয়ে এরকম ঘটে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিত্ দে ভৌমিক। এদিকে, তৃণমূলে তো এমনটাই হয়ে থাকে বলে গোটা ঘটনা ঘিরে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায়।
গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক তৃণমূলের শীর্ষ নেতার মতপার্থক্যও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের, সৌগত রায়ের সঙ্গে অর্জুন সিংহের মতপার্থক্য এসে পড়েছে সামনে। অর্জুন সিংয়ের নিজস্ব ক্যারিশমা নেই। আগে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে জিতেছিল, এবার তৃণমূলের সমর্থনে জিতবে। ব্যারাকপুরের সাংসদকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হলে অবশ্য ফোন ধরেননি অর্জুন সিংহ।
আরও পড়ুন- সিভিকে 'না', মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী চাকরির আবেদন মালবাজারের মসিহা মহম্মদ মানিকের