শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার (John Barla) নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল তুফানগঞ্জ-এর আদালত (Court)। ২০১৯ সালে নির্বাচনী প্রচারে অনুমতি না নিয়ে বাইক রেলির অভিযোগ ওঠে জন বার্লার বিরুদ্ধে। বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয় পরে আদালতের নির্দেশে মামলা করে পুলিশ। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে সমন পাঠানো হলে গত ১৫ তারিখ তিনি আদালতে হাজির হননি। এরপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুফানগঞ্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
বিতর্কে আগেও জন বার্লা
প্রসঙ্গত, গতবছর পৃথক উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিতর্কের ঝড়ে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। একটি সভায় গিয়ে বক্তব্যের মাঝেই এই কথা উঠে আসতেই, প্রবল চাপের মুখে পড়ে গেরুয়া শিবির। রাতারাতি তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। তবে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবির বিরুদ্ধে ইতিমধ্য়েই পথে নেমছে তৃণমূল । কোচবিহারে প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, উত্তরকন্যা কেন আছে? পাল্টা প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) নিখিলরঞ্জন দে।কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সম্মতি না জানালেও পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে তাঁরা যে এখনও অনড়, ২৮ অগাস্ট কোচবিহারের ‘ভারতভুক্তি’ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি দুই বিধায়ক, সুকুমার রায় এবং মালতি রাভা রায়। ঠিক কী বলেছিলেন তাঁরা?
আরও পড়ুন, নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামছে তৃণমূল
পৃথক উত্তরবঙ্গ ইস্যু
বিধায়ক তথা বিজেপির কোচবিহারের সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের জন্যে যে দাবি উঠছে যে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করতে হবে, সেই দাবিকেও আমরা সমর্থন করি।’’ তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায় বলেন, “কিছু নেতা এসে বলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করা যাবে না। আমি বলছি উত্তরবঙ্গের মানুষ ঠিক করবে, আলাদা হবে কি না।’’ এই দাবির বিরুদ্ধে এবার প্রথমবার পথে নামে তৃণমূল। বিজেপির পৃথক উত্তরবঙ্গ দাবির প্রতিবাদে, সেপ্টেম্বরে কোচবিহারে মিছিল করে রাজ্যের শাসকদল। কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “২৮ অগাস্ট গ্রেটার লিডার অনন্ত রায়, বিজেপির তিন বিধায়ক বাংলা ভাগের বিভাজনের কথা বলেছেন। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের কথা বলেছেন। আমরা বঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধে। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে মিছিল করব।' যদিও সেই প্রতিবাদ ইতিমধ্য়েই সেরেছে শাসকদল।