কোচবিহার: কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জে ট্রাকে ধাক্কা মারার পর, যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসে আগুন (Fire Incident)। অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা।মাথাভাঙা থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসটি। সকাল ৭টা নাগাদ মেখলিগঞ্জের জামালদহে উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকে ধাক্কা মারার পর, বাস ও ট্রাক দুটিতেই আগুন লেগে যায়। হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়েন যাত্রীরা (Passengers)। দমকলের একটি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে বাসে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
চলতি বছরে একাধিকবার চলন্ত গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে চলন্ত বাসে হঠাৎই আগুন লাগে রাজ্যে। দুপুরে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে (Kona Expressway) এক সরকারি বাসে আগুন লেগে যায়। সাঁতরাগাছির (Santragachi) কাছে আমতা থেকে ধর্মতলাগামী একটি সরকারি বাসে আগুন লাগে। আচমকাই সিটের পাশে ধোঁয়া দেখতে পান চালক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশে প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় যান চলাচল। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লাগে। এদিকে, সালকিয়ার গোলাবাড়ি এলাকায় আসবাবের কারখানায় আগুন লাগে। জোড়া অগ্নিকাণ্ড ঘটে হাওড়াতে। গোলাবাড়ি থানা এলাকায় একটি আসবাবের কারখানায় আগুন লাগে। স্পঞ্জ, ছোবড়ার মতো দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। কারখানার ভিতর থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে আসেন কর্মীরা। দমকলের (Fire Brigade) ৪টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন, শুভেন্দুর সভার আগে ধুন্ধুমার, বেধড়ক 'মারে' আক্রান্ত বিজেপি নেতা, আজই অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা
হলদিয়া (Haldia) বন্দরের আবাসনের ক্লাস্টার নাইনের একটি বন্ধ ঘরে আগুন লাগে। জানালা দিয়ে প্রথমে ধোঁয়া ও পরে আগুন দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান ছিল, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই ঘটনা। এনিয়ে, হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বন্দরের আবাসনগুলি সংস্কার শুরু হয়েছে। বিদ্যুতের লাইনে কোথাও ত্রুটি থাকলে দ্রুত সারানো হবে। কিছুদিন আগেই জগত্বল্লভপুর (Jagatballavpur) থানা এলাকার মানিকপীর এলাকায় প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের (Howrah Fire) ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়।স্থানীয় সূত্রে দাবি, প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। তবে সেই সময় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দমকল কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সুবিধা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কারখানার বড় অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।