শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ছেলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ( extra-marital affairs) জেরে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।  দিনহাটার (Dinhata) হোপদহের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। (Cooch Behar) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশীর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। জীবন দিয়ে তারই মাশুল গুনলেন বছর ৭০-র বাবা। প্রতিবেশীকে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটার হোপদহে। মৃত্যু হয়েছে বছর সত্তরের বিনোদচন্দ্র অধিকারীর।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বিনোদচন্দ্রের ছোট ছেলে আবীরচন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী সুশান্ত বর্মনের স্ত্রীর। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। রবিবার দুপুরে চরমে ওঠে পরিস্থিতি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই হোপদহ বাজারে বিনোদচন্দ্রের বড় ও মেজো ছেলের ওপর চড়াও হন সুশান্ত। তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, ধাওয়া করে বাড়িতে চলে আসেন সুশান্ত। ‍বছর সত্তরের গৃহকর্তাকে কাছে পেয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করেন। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিনোদচন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


মৃতের ছেলে প্রভাস অধিকারী  জানিয়েছেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত।      তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে সুশান্তর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার বিষয়ে ওরা থানায় অভিযোগ করে। তারপর তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং এই হামলায় তাঁদের বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে।


মৃতের পরিবার এই ঘটনায় রাজনীতিকে জড়ায়নি। তবে মৃতের ছেলে আবীরচন্দ্রকে তাদের তপশিলি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি বলে দাবি করে, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।


কোচবিহার উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেছেন, আবীর তপশিলি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি, বিজেপি করাতেই তার বাবাকে খুন করেছে তৃণমূল।


তৃণমূলের কোচবিহার কোর কমিটির সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, পারিবারিক বিবাদ নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তদন্ত করবে।


অভিযুক্ত সুশান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।