শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নিয়োগ দুর্নীতি গিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য (Recruitment Scam)। নাম জড়িয়েছে তাবড় প্রভাবশালী রাজনীতিকের। সেই আবহেই এ বার কোচবিহারেও (Cooch Behar News) রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ সামনে এল। এই অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 


রেলে চাকরি করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ


পুন্ডিবাড়ি (Pundibari News) থানার অন্তর্গত দক্ষিণ কালারায়ের কুঠি মধুরটারি এলাকার ঘটনা। পুন্ডিবাড়ি থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, অজিত সরকার নামের আইবি-তে কর্মরত বলে পরিচয় দেন নিজের। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এলাকার আরও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা নেন বলেও অভিযোগ। 


পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই যুবক। তার মধ্যে রয়েছেন শীতলকুচি এলাকার তপন সরকার নামের এক যুবক, মাথাভাঙা পুন্ডিবাড়ি এলাকার সুমত্রা বর্মন। পুন্ডিবাড়ি থানায় সুমিত্রাই অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গিয়েছে। তপনের তরফেও অভিযোগ এসেছে।


আরও পড়ুন: Durgapur : দুর্গাপুরে টোল প্লাজা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ CISF জওয়ানদের বিরুদ্ধে, তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল


তপন জানিয়েছেন, রেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেন অজিত। এমনকি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যও অজিত নিয়ে যান বলে দাবি তপনের। পরবর্তী কালে ডাকযোগে নিয়োগপত্রও বাডি়তে পৌঁছয় তপনের। কিন্তপ সেটি ভুয়ো নিয়োগপত্র বলে জানতে পারেন তিনি। 


একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ


সুমিত্রা জানিয়েছেন, ছেলের চাকরি করে দেবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন অজিত। তিনি জানিয়েছেন, অজিত তাঁর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু ছেলের চাকরি হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। এই ঘটনায় স্বভাবতই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুন্ডিবাড়িতে।  এ নিয়ে তদন্ত কোন পর্যায়, তে খোলসা করেনি পুলিশ। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি অজিতকে। তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে।


তবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে প্রশ্ন উঠছে, টাকা দিলেই সরকারি চাকরি মিলবে, এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে টাকা দেওয়া নিয়ে। কারণ রেলের তরফে বার বার এই নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। লোকাল ট্রেনেও এই নিয়ে সতর্কবাণী শোনা যায়। টাকা নিয়ে চাকরি করে দেওয়ার ফাঁদে পা না দিতে বার বার সতর্ক করা হয় সাধারণ মানুষকে। তার পরও প্রতারণার শিকার হয়েচলেছেন মানুষ।