শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সিতাই: জেলা সভাপতির নির্দেশকে উপেক্ষা, ফের দলীয় পঞ্চায়েত (Panchayat) প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব (No confidence motion) তৃণমূল (TMC) সদস্যদের। কোচবিহারের (Cooch Behar) সিতাই (Sitai) বিধানসভা এলাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল।


নেতৃত্বকে না জানিয়ে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না, বুধবার মাথাভাঙার পচাগড়ে ফের নির্দেশ দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেছিলেন, ‘দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দলকে না জানিয়ে অনাস্থা আনা যাবে না।’


কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ওই দিনই দিনহাটার বড়শোলমারি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ৭ জন সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েতে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন তিনি। সেই কারণেই বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।


বড়শোলমারি পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি বর্মন রায় বলেছেন, ‘আনাস্থা আনার কথা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করেছি। দুর্নীতি করলে দল ব্যবস্থা নেবে। ব্লক সভাপতি, জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি। ২৯ তারিখ মিটিংয়ে ডেকেছে দল।’


২০১৮-র ভোটে বড়শোলমারি পঞ্চায়েতে ১৪টির মধ্যে সব আসনই পায় তৃণমূল। কিন্তু সেখানেই এখন অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা এলাকায় এই নিয়ে চতুর্থ পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। আগের তিনবারই আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় বদল করতে হয়েছে প্রধানকে। এবার কি বড়শোলমারি পঞ্চায়েতেও দলীয় প্রধানকে সরে যেতে হবে? আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর কথা বলছেন রাজ্যের শাসক দলের জেলা সভাপতি।


দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ৭ সদস্য অনাস্থা আনায় তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দিনহাটার বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘তৃণমূলের কোন্দল নতুন বিষয় নয়। এটা চলবেই। শুধু দিনহাটা কেন, সারা জেলা-রাজ্য জুড়ে চলছে।’


কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেছেন, ‘এটা একটা ধসা রোগ। বারবার এটা সিতাই বিধানসভা এলাকাতেই হচ্ছে। আমি দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানব কী সমস্যা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’