শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ: নদীপাড়ের ভাঙন রুখতে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই থমকে গিয়েছিল সেই কাজ। বর্ষার আগে তাই প্রমাদ গুনছেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দারা। শীঘ্রই বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তাঁরা। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার মানুষজন। (Cooch Behar News)


কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ২ নং ব্লকের ভানুকুমারী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গত বছর মে মাসে নদীর ভাঙন রুখতে ছিট বড় লাউকুঠি এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে সেই কাজ থমকে যায়। বর্ষা আসার আগে তাই সেই কাজ সম্পূর্ণ করার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। একজোট হয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। (Tufanganj News)


সংকোশ এবং গঙ্গাধর নদীর ভাঙনের জেরে বহু বছর ধরেই জেরবার এলাকার মানুষজন। নদী তীরবর্তী ছিট বড় লাউকুঠি মৌজার দু'টি বুথে প্রায় ২০০০ পরিবারের বাস। তাঁদের চাষের জমি থেকে পাকা ঘরবাড়ি, আগেও নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ফি বছর বর্ষাকালে বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে যায় গোটা গ্রাম। সেই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন সকলে।


আরও পড়ুন: Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই রদবদল, সরানো হল বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজিকে


বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনেও নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার জেরে গত বছর মে মাসে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরিু হয়। ছিট বড় লাউকুঠি এবং পূর্ব ফলিমারি এলাকায় সঙ্কোশ নদীর পাড়ে বোল্ডার ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজে হাত দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের তৎপরতা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন গ্রামের মানুষজন। কিন্তু ২০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের পরই আচমকা থমকে যায় কাজ। 


তার  পর বছর ঘুরতে চললেও, এখনও পড়ে থাকা কাজে নতুন করে হাত দেওয়া হয়নি। তাতেই প্রমাদ গুনছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পুনরায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে দফায় দফায় জেলাশাসক, সেচ দফতর সব প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। তার মধ্যেই আবারও বর্ষা আসতে চলেছে। নতুন করে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে উদ্যোগী না হলে, ওঙ্গনওয়াড়ি, স্কুল, পোস্ট অফিসের পরিষেবা বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সকলে। তুফানগঞ্জ ২ নং বিডিও অফিসের সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এ নিয়ে যোগাযোগ করলে, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শীতলচন্দ্র দাস জানান, জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। প্রশাসন এলাকার মানুষের পাশে আছে।