শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ (কোচবিহার) : বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। কিন্তু সন্ধে নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গ্রাম। ভরসা বলতে তখন মোমবাতি আর কেরোসিনের লন্ঠন। মোবাইলে চার্জ দিতে যেতে হয় পাশের রাজ্য অসমের সীমান্তে। রাস্তা-ঘাটের অবস্থাও তথৈবচ! এককথায় কোচবিহারের (coochbehar) তুফানগঞ্জের পূর্ব ফলিমারি যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ!
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ৩ মাস ধরে সোলার প্যানেলগুলির (solar panel) ব্যাটারি খারাপ হয়ে আছে, কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামের বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
তুফানগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব ফলিমারি গ্রাম। কিন্তু বাকি কোচবিহার থেকে এই গ্রামকে কার্যত আলাদা করে দিয়েছে সংকোশ নদী।
রয়েছে সোলার প্যানেল, নেই বিদ্যুৎ
২০১৮ সালে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামজুড়ে বেশ কিছু সোলার প্যানেল বসানো হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত ৩ মাস ধরে সোলার প্যানেলগুলির ব্যাটারি খারাপ থাকায় সন্ধে নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা। অথচ বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সামনেই অসম, সেখানে বিদ্যুৎ আছে। আমরা ওখানে বাজারে গিয়ে টাকা দিয়ে ফোন চার্জ করি। আগে আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সোলার প্যানেল লাগাই।
বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানও। ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিল্বমঙ্গল সাহা বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা। যেহেতু নদী পেরিয়ে যেতে হয় তাই সেখানে তার দিয়ে লাইন দেওয়া যায় না। সোলারের মাধ্যমে কারেন্ট দেওয়া হয়েছে। তবে সন্ধের পর চার্জ চলে যায়। ওপরে বলেছি। কিন্তু গুরুত্ব দিচ্ছে না। খুব সমস্যায় আছি। ১২৮ টা অঞ্চলের মধ্য সবদিক থেকেই খুব সমস্যায় এই অঞ্চল।'
গ্রামের বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই দফতরের কর্মীরা গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু, কবে এই সমস্যা থেকে সুরাহা মিলবে? অপেক্ষায় ৭০০-র বেশি পরিবার।
আরও পড়ুন- সর্ষের মধ্যেই ভূত! মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার কাণ্ডে ফের হোমগার্ড গ্রেফতার!