কলকাতা : একাধিক রাজ্যের প্রস্তাব পেয়েছেন। শীঘ্রই সিএবি-তে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (No Objection Certificate) বা এনওসি চাইবেন বলে সম্প্রতি এবিপি লাইভকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। সেইমতো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ছেড়েই দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। বাংলার হয়ে আর খেলবেন না তিনি। ছাড়পত্র নিতে এলেন সিএবি-তে। ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএবি-র যুগ্মসচিব । এতে আঘাত পেয়েছিলেন ঋদ্ধি, সে কারণেই বাংলা ত্যাগ বলে খবর সূত্রের।
এবিপি লাইভকে একান্ত সাক্ষাৎকারে কী জানিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান ?
আশঙ্কাই সত্যি হল। সিএবি (CAB) কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলেনি। সিএবি কর্তাদের প্রতি একরাশ অভিমান পুষে রেখেছেন। দিনকয়েক আগে ঋদ্ধিমান সাহা সাফ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই সিএবি-তে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি চাইবেন। তারপর যোগ দেবেন অন্য রাজ্যের দলে।
সেইমতো আজ সিএবি-তে আসেন ঋদ্ধিমান। সংস্থার প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার কাছে লিখিল আবেদন করে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চান। তাতে সম্মতি দেয় সিএবি। অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পান ঋদ্ধি। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য সাফল্য কামনা করা হয় ঋদ্ধিমানের তরফে।
আরও পড়ুন ; 'ওঁরা ভাবে যে বাংলার ক্রিকেটাররা ভাল খেলতে পারে না'', বিস্ফোরক ঋদ্ধির নিশানায় কে?
প্রসঙ্গত, এবিপি লাইভকে একান্ত সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমান বলেছিলেন, 'অনেক রাজ্যের প্রস্তাব পেয়েছি। এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। সব কিছু ঠিক হলেই জানাব।'
ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থা নাকি বেশ ভাল প্রস্তাব দিয়েছে? যেখানে ক্রিকেটার হিসাবে খেলার পাশাপাশি দলের মেন্টর হিসাবেও কাজ করতে পারবেন? এপ্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি ধোঁয়াশা বজায় রেখে জানিয়েছিলেন, 'পূর্ব ভারত, পশ্চিম ভারত, উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারত- দেশের সব প্রান্ত থেকে বিভিন্ন রাজ্য দলের প্রস্তাব পেয়েছি। তাই কোনও একটা দলের কথা বলা ঠিক নয়। আমি যে দলেই যাই না কেন, দেখব সেখানে কোনও উঠতি, প্রতিভাবান উইকেটকিপার রয়েছে কি না। কেউ যদি কোনও রাজ্য দলের হয়ে ভাল খেলে বা এমন কেউ যদি কোনও দলে থাকে যে নির্বাচকদের নজরে রয়েছে, জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ বলা হচ্ছে, সেরকম দলে যাব না। আমি কারও জায়গা কেড়ে নিতে চাই না। চাই না আমার জন্য কেউ নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ থেকে বঞ্চিত হোক।'