শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজে 'থ্রেট কালচারের' অভিযোগ। খোদ BMOH-কেই 'No Entry'। থ্রেট কালচারের অভিযোগে খোদ কোচবিহার ১-এর BMOH দীপায়ন বসুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোচবিহার মেডিক্যালে তাঁর প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আরেক চিকিৎসক সংবেদ ভৌমিকের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একথা জানিয়েছেন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার মণ্ডল। পাশাপাশি এতদিন যাঁরা ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন, তাঁদের আর মান্যতা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে যাঁরা পরীক্ষায় ভাল মার্কস পাবেন তাঁরাই সিআর নির্বাচিত হবেন।


অধ্যক্ষ বলেন, "যেহেতু ওঁরা (দীপায়ন বসু ও সংবেদ ভৌমিক) আমাদের কলেজের সঙ্গে যুক্ত নন, ফলে তাঁরা কোনও অনুমতি ছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকবেন না। এরকম একটা সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। ওঁরা এসে রাতের দিকে মিটিং করেন। এসে ছেলেদের উত্তেজিত করেন। তাঁরা এবার অনুমতি ছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকবেন না। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমাদের এখানে ছাত্রদের একটা গ্রুপ, যারা সাধারণত কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করে। এরকম একটা বিষয় ছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে দেখা যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই থ্রেট কালচারের বিষয়গুলো উঠে আসছে। সেই কারণে ওই যে গ্রুপটি তাদের আপাতত আমাদের দিক থেকে কোনও স্বীকৃতি দিচ্ছি না।"


এদিকে আর জি কর মেডিক্যালে 'থ্রেট কালচার' নিয়ে জমা পড়েছে ভূরিভূরি অভিযোগ। এই থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের ডেকে, আজ নিয়ে ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন অধ্যক্ষ। কমিটি কাছে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে অভিযোগ। বুধবার ১২জনকে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। আর আজ, অভিযুক্তদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পরলেন অভিযোগকারী জুনিয়র ডাক্তার থেকে পড়ুয়ারা। তদন্ত কমিটির শুনানি চলাকালীনই, বাইরে বসে অভিযুক্তদের নাম ধরে ধরে উঠল স্লোগান। এমনকি, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আর জি কর মেডিক্য়ালের হাউজ স্টাফ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আশিস পাণ্ডেকে দেখেই উঠল চোর চোর স্লোগান। প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে