শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা (কোচবিহার): কোচবিহারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তিন জনের। আজ দুপুরে জয়গাঁ থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা  যাওয়ার সময়  রুইডাঙা এলাকায় একটি গাড়ি রাস্তার পাশে ডোবাতে পড়ে গিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় চাকা খুলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িটি জলাশয়ে পড়ে যায়। জলাশয়ে পড়ে যাওযায় গাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি তিন যাত্রী। জলে ডুবে তাঁদের মৃত্যু হয়।  নিহতদের পরিচয় জানা গিয়েছে।  তাঁদের নাম বাহুরুদ্দিন মিয়া (৬২) আকবর হোসেন (৪০) সাজিউদ্দিন (৩৮)।  পরে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।


গত অগাস্টের শেষ সপ্তাহে জলপাইগুড়িতে  পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। ময়নাগুড়ি  ভুস্কাডাঙ্গা এলাকায় সন্ধেবেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ ঘটনায় ২ জন মোটর সাইকেল আরোহী সহ ১ জন গাড়ির চালক নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। নিহতরা হলেন ২৯ বছরের রিকু মোহন্ত। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি শক্তিনগর এলাকায়। অপর বাইক আরোহীর হলেন ২৭ বছরের তন্ময় বিশ্বাস। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি নিউটাউন পাড়া এলাকায়৷ জানা গিয়েছিল, এই ২ জন একটি বেসরকারি ফিনান্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধে নাগাদ চ্যাংরাবান্ধ্যা থেকে মোটর সাইকেলে চেপে ময়নাগুড়ির দিকে আসছিলেন  এই ২ জন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে একটি স্করপিও গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের মোটর সাইকেলে। এরপর স্করপিওটি গাছের মধ্যে ধাক্কা মারলে স্করপিওর চালকেরও মৃত্যু হয়। এরপর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে।


 কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যাঙ্ক কর্মচারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল বাঁকুড়া সদর থানার বাঁকুড়া- খাতড়া রাজ্য সড়কের চতুরডিহি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দিব্যেন্দু শেখর পাত্র ( ৪৪)। একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার ছিলেন তিনি।  স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন  সকালে শুনুকপাহাড়ী ব্যাঙ্কে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। মোটর বাইকে যাবার পথে বাঁকুড়া - খাতড়া রাস্তায় চতুরডিহি এলাকায়  খাতড়ামুখী একটি  বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিতসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে।