শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের স্কুলে টাকার বিনিয়মে স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। এবার কোচবিহারের (Coochbehar) ঘটনা। অভিযোগ উঠল খোদ স্কুলেরই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। কোচবিহার পুরসভা (Coochbehat Municipality) পরিচালিত স্কুলের শিক্ষিকাকে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও গোটা অভিযোগই অস্বীকার করেছেন প্রিন্সিপাল। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ ওঠায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই প্রিন্সিপালকে, জানিয়েছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।


ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় রাজ্য। ওই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এবার স্কুলের এরকম অভিযোগ ওঠায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছে স্কুলের এক শিক্ষিকা। কোচবিহার পুরসভার অধীনস্থ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, নিবেদিতা অ্যাকাডেমির ওই শিক্ষিকার কী অভিযোগ? 


টাকা নেওয়ার অভিযোগ:



  • প্রাথমিকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সালে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেন প্রিন্সিপাল।

  • চাকরি না হওয়ায় ৫৫ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ।


অভিযোগীকারী শিক্ষিকা সোমা দেব বলেন,  'আমি ২০১২ টেট কোয়ালিফাইড। আমাকে ইন্টারভিউ কল করা হয়নি, উনি ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার নেন এই ভিত্তিতে যে ওঁর অনেক নেতা-মন্ত্রী চেনাশোনা আছে, উনি চাকরিটা করে দেবেন। উনি দিচ্ছি-দেব করে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৫ হাজার টাকা রিটার্ন করেছেন।'


কী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ:
একাধিক অভিযোগে আগেই অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমরা ওনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছি। তবে আমাদের খাতা পত্র দেখেছি। আমাদের যে ৮ লক্ষের উপরে টাকা ছিল দেখা গেল, দেড় লক্ষ টাকার মতো জমা হয়েছিল তারপরে অনেক চিঠি দেওয়ার পরে উনি ফেরত দিয়েছেন। আগেও অনেক অভিযোগ হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব খতিয়ে দেখে যা যা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।'


অভিযোগ অস্বীকার:
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাসপেন্ডেড প্রিন্সিপাল জয়ন্ত অধিকারীর দাবি, ওই টাকা তিনি ধার হিসেবে নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি চিকিত্সার জন্য বেঙ্গালুরুতে আছেন।


আরও পড়ুন: কবে নিয়োগ হবে? অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা