কোচবিহার: ফের ঘর ভাঙবে বিজেপির। এবার এমনটাই দাবি করলেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। তিনি বলেন, 'একজন এসেছে, আরও অন্তত ১২ জন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন।'


সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি (BJP MLA) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর হাতে পতাকা দেখা যায়নি। তারপরেই জল্পনা বাড়তে থাকে যে বিজেপির আরও একাধিক নির্বাচিত বিধায়ক-সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তা নিয়ে শুরু হয় তরজাও। 


বিজেপির তোপ:
এদিন উদয়ন-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। যাঁরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে উল্টোদিকে চলে গিয়েছে। ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছেন। মানুষ তাঁদের চিনে নিয়েছে। আমরা মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যে এমন লোকদের আমরা ২০২১ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছিলাম। আর যিনি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী তিনি কতবার দলবদল করেছেন, মানুষ তা দেখেছে।'


সুমন কাঞ্জিলালের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল? পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পদ্মশিবিরে ফের ধাক্কা দিয়েছে ঘাসফুল। রবিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ছবি পোস্ট করে, তৃণমূলের ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, বিজেপির জনবিরোধী নীতি এবং বিদ্বেষের এজেন্ডাকে প্রত্যাখ্যান করে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল পরিবারে যোগ দিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়নি। এর আগে বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ,  সৌমেন রায়, কৃষ্ণকল্যাণীদের ক্ষেত্রে, তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের হাতে। এই প্রেক্ষাপটেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে ট্যুইটারের লিখেছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনকে ভয় পাচ্ছেন? তাই কি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে দিলেন না? কারণ বিধানসভার ভিতরে মুকুল রায়ের গায়েও বিজেপির তকমা সাঁটিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের মালিকরা। সুমন কাঞ্জিলালও দাবি করবেন যে তিনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন।

এদিকে দলবদলের কথা মানতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, বিজেপিতে ৭৫ জন বিধায়কই রয়েছেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে, বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপর একে একে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নাম। তা সত্ত্বেও শুভেন্দুর দাবি, বিজেপির ৭৫ জন বিধায়কই আছেন ।   


আরও পড়ুন: 'OMR বিকৃতিতে যারা উপকারী, তাঁরা দায়ী নয়? CBI-কে কী বললেন বিচারপতি বসুর