শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের (Coochbehar) ওকড়াবাড়িতে প্রাথমিক স্কুলের পাশেই উদ্ধার হল বোমার অংশ। ঘটনা ঘিরে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই বোমা তৈরি করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দিকেই পাল্টা দায় ঠেলেছে রাজ্যের শাসক দল।


প্রাথমিক স্কুলের পাশে উদ্ধার বোমার অংশ: বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার পর এবার কোচবিহার। ফের শিক্ষাঙ্গন চত্বরে বোমার আতঙ্ক। এবার কোচবিহারের ওকড়াবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় স্কুলের গেটের সামনে পড়ে থাকতে গেল বোমার সুতলি, বারুদ।এমনকী কৌটো বোমার মতো কিছু অংশও পড়ে থাকতে দেখে খারিজা ফলিমারি এপি বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরাও। দিনহাটা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে বারুদ-সহ পড়ে থাকা সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকমল বর্মন জানিয়েছেন, “ছাত্রছাত্রীর এসে দেখতে পায়, তারপর পুলিশে খবর দিই। আমরা সকলেই আতঙ্কে আছি। প্রশাসন যাতে যথাযথ তদন্ত করে সেই দাবি জানাচ্ছি।’’

স্কুল চত্বর লাগোয়া এলাকায় কীভাবে এল বোমার সরঞ্জাম? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।যদিও কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,কোনও তাজা বোমা বা বোমা তৈরির সরঞ্জাম নয়, উদ্ধার হয়েছে পরিত্যক্ত বোমার অংশ।তবে কি শিক্ষাঙ্গনের পাশেই গড়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের ডেরা?বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দিনহাটা থানা সূত্রে খবর।


স্কুলেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ: এদিকে মালদার (Malda) গাজোলে স্কুলেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। স্কুলের দোতলার ঘরে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ অভিযুক্ত গ্রেফতার। গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে, জানিয়েছেন এসপি। 


শিক্ষার আলোর বদলে, শিক্ষাঙ্গনেই জীবনে নেমে এল অন্ধকার। মালদার গাজোলে ক্লাসরুমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। যে ঘটনার কাছে যে কোনও বিশেষণই তুচ্ছ। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে মোট ৩৭ জন পড়ুয়া। দায়িত্বে একজন মাত্র শিক্ষক। শনিবার আসেননি তিনিও। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, রক্ষীবিহীন স্কুলে ঢুকে পড়ে ৩ যুবক। পরিচিত হওয়ায়, তাদের ডাকে দোতলার ফাঁকা ক্লাসরুমে যায় কিশোরী। অভিযোগ, এরপরই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর পালিয়ে যায় ৩ যুবক। পরিবারের দাবি, দোতলার ক্লাসে যাওয়ার সময় এক সহপাঠী তাদের দেখে ফেলে। পরে বন্ধুকে কাঁদতে দেখে সেই বাড়িতে খরব দেয়। বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানায় নির্যাতিতা কিশোরী। এরপর সোমবার গাজোল থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার।            


আরও পড়ুন: Asansol: তীব্র চেহারা নিল আন্দোলন, উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে সরব এবার পড়ুয়ারাও