শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কখনও দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব। কখনও অনুগামীদের মধ্যে  ঝামেলা। কোচবিহারে একাধিক সময়ে সামনে এসেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই সমস্যা মেটাতেই এবার আসরে নামলেন কোচবিহারের ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নির্বাচন। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব কাটাতে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। যদিও তারপরেও এড়ানো যায়নি কোন্দল।

Continues below advertisement


বারবার মতবিরোধ:
কোচবিহার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাছাই নিয়ে, তৃণমূলের অন্দরেই বারবার মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বের একটি অংশ অভিযোগের আঙুল তুলেছে জেলা নেতৃত্বের দিকে। জেলার নেতাদের দিকে অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির তরফেও। সেই দ্বন্দ্ব রুখতেই আসরে নামলেন খোদ জেলা সভাপতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের সময়, অফিসের বাইরে বসে থাকলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক।


ঠায় বসে জেলা সভাপতি:
১৮ সেপ্টেম্বর, মৃত্যু হয় কোচবিহার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দ্রকান্ত রায়ের। তারপরেই নতুন সভাপতি পদে ৪ জনের নাম উঠে আসে। সম্প্রতি নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।  কিন্তু, সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তৃণমূল। যদিও শেষ পর্যন্ত সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন অনিরুদ্ধ বর্মন। সেদিনই দেখা গিয়েছিল, নির্বাচন চলার সময়, পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে ঠায় বসে ছিলেন খোদ জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। যদিও পরে সেই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। ফলে সভাপতি নির্বাচনের পরেও এড়ানো গেল না কোন্দল। কোচবিহার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও তৃণমূল নেতা আজিজুল হক বলেন, 'এটা আলোচনার মাধ্যমে করলে ভাল হত। বিষয়টি সবাই জানতে পারল না।' জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেছেন, 'যে সবচেয়ে কর্মী সে বড় নেতা। আমি দলের কর্মী হিসেবে দলের কাজ করেছি।'


বিজেপির কটাক্ষ:
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের মধ্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, 'রোজই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখতে পাচ্ছি। সমিতির সভাপতি নির্বাচনে জেলা সভাপতি থাকতে হয়। ভাবা যায় না।' কোচবিহার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সংখ্যা ৪৫। এরমধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৪৩টি আসন। বাকি ২টি আসন বিজেপির দখলে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ থেকে কয়লা-গরু পাচার! একের পর এক দুর্নীতির প্রভাব কি পঞ্চায়েত ভোটে?