দিনহাটা (কোচবিহার): কোচবিহারের দিনহাটায় আজ দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ অক্টোবর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে শিলিগুড়ি থেকে কপ্টারে কোচবিহার রওনা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিনহাটার সংহতি ময়দানে তাঁর নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেন তিনি। আজই কলকাতায় ফিরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটায় জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। পরে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এদিন তাঁর ভাষণে নিশীথ প্রামানিককে বিঁধলেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘ কোচবিহারে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একটিও পালন করেননি। দিনহাটায় মন্ত্রী হওয়ার লালসায় ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।’
অভিষেক বলেছেন, ‘যাঁরা সভায় এসেছেন, তাঁরা সবাই ভোট দিলেই বিজেপি ভো কাট্টা। আমরা ভোটে হেরে গেলেও, মানুষের পাশে থাকি। বিজেপি যে কেন্দ্রে জেতে, সেখানেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। দুঃখে-বিপদে আপনারা তৃণমূলকেই পাবেন। বিজেপির বড় নেতাদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ভোট শুধু কোচবিহারের নয়। মনে করুন এই কেন্দ্রের প্রার্থীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকে বিজেপিকে উত্খাত করতে হবে। ’
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা না জিতলে, ভারতবর্ষ থাকবে না। ত্রিপুরা-গোয়ার পর আমরা আরও পাঁচ-সাতটা রাজ্যে যাচ্ছি। তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। ভারতবর্ষকে পথ দেখাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এমনভাবে ভোট দিন, পদ্মফুল যেন সর্ষেফুল দেখে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘করোনার মতো বিজেপিও ভাইরাস। করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন। বিজেপির ভ্যাকসিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ তারিখ প্রথম ডোজ দিন, ২০২৪-এ দ্বিতীয় ডোজ দেবেন।’
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন,, ‘গরুর দুধে যে সোনা পেয়েছিলেন, তাঁকেই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কালীপুজোয় শ্যামাপোকা দেখি, ভোটের সময় শুধু শ্যামাপোকা বিজেপিকে দেখবেন।
অভিষেক বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হয়েছে তাতে ভোটে বিজেপির লাভ হবে, বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এরপরও ওঁদের ভোট দেবেন?’
কংগ্রেসকে ফের এদিন দুর্বল বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘কংগ্রেস বিজেপির কাছে শুধু হারছে, আর তৃণমূল বিজেপিকে হারাচ্ছে।’