শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: আম আদমি পার্টির নামে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে কোচবিহারে বিতর্ক। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও তৃণমূল নেতার দাবি, নেপথ্যে রয়েছে দলের একাংশ। আপের দাবি যে পেজ ঘিরে বিতর্ক তা তাদের নয়। 


পুরভোট মিটতেই কোচবিহার জেলায় নতুন বিতর্ক। আম আদমি পার্টি কোচবিহার নামের ফেসবুক পেজে এই পোস্ট ঘিরে জেলা রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যেখানে কোচবিহারের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করা হয়। 


কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন আব্দুল জলিল আহমেদ। দীর্ঘদিন ছিলেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি পদে। 
যদিও পোস্ট বিতর্কে দলেরই একাংশের হাত দেখছেন তৃণমূল নেতা। 


কোচবিহারের তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদের কথায়, সাইবার ক্রাইমে যাব। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। এটা চক্রান্ত, দলের একাংশ করছে। যারা দুর্নীতি করছে তারা চক্রান্ত করছে।


ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল নেতাকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ তোপ। নেপথ্যে দলেরই একাংশ বলছে তৃণমূল নেতা। পোস্ট নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।


কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, মিথ্যা, প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা করছে তারা নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করছেন। আম আদমি পার্টির দাবি, যে পেজ ঘিরে বিতর্ক তা তাদের নয়।


কোচবিহারের আম আদমি পার্টির ইনচার্জ অমিতাভ দেবনাথ বলেছেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল পেজ নয়, আমরা এই নিয়ে তদন্ত করব। পুলিশের কাছে যাচ্ছি। কে কী করছে তার দায় কেন নেব?


কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলছেন, তৃণমূলের প্রত্যেক নেতাই কাটমানি, সিন্ডিকেটে জড়িত। আব্দুলের বিরুদ্ধে এটা নতুন কিছু নয়। যখন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে তখন এসব দিচ্ছে। সব মিলিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে বিতর্ক থামছে না কোচবিহারে।