শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। সম্প্রতি ফের রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জীবন, সেই অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে। ওই অডিও টেপে প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি মালখান সিংয়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও প্রধান। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের চাপানউতোর।


শিলিগুড়ি থেকে প্রাক্তন কেএলও (KLO) জঙ্গি মালখান সিংকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। সেই প্রসঙ্গ টেনেই রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও (KLO) প্রধান। তাঁর একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে। 


কী বলেছেন জীবন সিংহ:
অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে জীবন সিংহ বলেন, 'কলকাতার পুলিশ এসে কামতাপুরের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। এর ফল ভুগতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে আসার পরই এই গ্রেফতারি হয়েছে, যা অনৈতিক। বাংলার অধীনতা কামতাপুরের জনগণ মানবে না কামতাপুরের জনগণ কলকাতার সরকারকে আগেও মানেনি। এখনও মানে না। ভবিষ্যতেও মানবে না। কামতাপুরের মানুষকে দেশদ্রোহের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।' যদিও এবিপি আনন্দ অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি। 


এবছর জুন মাসেও, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের সময়, ভিডিও বার্তায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন কেএলও প্রধান। তার কয়েকদিন পর, রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে, তাঁর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এবার মালখান সিংয়ের গ্রেফতারির পর জীবন সিংয়ের ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


তৃণমূলের দাবি:
কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, 'কেএলও নিষিদ্ধ সংগঠন। তাঁদের সঙ্গে যারা কাজ করবে তাদের গ্রেফতার করাই স্বাভাবিক। কেন মালখানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা পুলিশ প্রশাসনই ভাল বলতে পারবে। জীবন সিংহ যা বলছে তা বিজেপির কথার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। বিজেপির পিছন থেকে মদত দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ অশান্ত করার।'


বিজেপির বক্তব্য:
কোচবিহার উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, 'বিজেপি এই ধরনের রাজনীতি করে না। এট কেএলওর ব্যাপার আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপার। এখানে বিজেপির কোনও বক্তব্য নেই। আমরা জানি অশান্তি তৈরি করার মূলে কী। উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া। এটা বারবার বলেছি। আগামীদিনেও বলব। জীবন সিং কী বলল, আর তৃণমূল কী বলল, তা নিয়ে আমাদের কোনও বক্ব্য নেই।' 


সূত্রের খবর, গুয়াহাটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত মালখানের। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেএলও কি রাজ্যে নতুন করে অশান্তি তৈরির ছক কষছে? মালখানকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ। 


আরও পড়ুন: ৮ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা