শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নজরে লোকসভা ভোট। এবার তৃণমূলের দখলে থাকা সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে আসরে নামল বিজেপি। ৬দিন কোচবিহারে থেকে সংখ্যালঘু মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জনসংযোগে জোর দিলেন ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য। বিজেপি সব জায়গায় ভাগাভাগির রাজনীতি করে, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। 



২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি এরাজ্যে ভাল ফল করলেও তারপর থেকে একের পর এক ভোটে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। এবার ফের সামনে লোকসভা ভোট। বিজেপি মনে করছে, এরাজ্যের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট নিজের দিকে টানতে না পারলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এখন থেকেই সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যেমন ৬দিন কোচবিহারে থেকে সংখ্যালঘু মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জনসংযোগে জোর দিলেন ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য মাফুজা খাতুন। 


২০১৯-এর লোকসভা ভোটে, রাজ্যের ১২৫টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল ৯৩টি কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল। ১২টি সংখ্যালঘু প্রধান লোকসভার আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টিতে, কংগ্রেস ২টিতে এবং বিজেপি ১টিতে জয়ী হয়েছিল। কোচবিহারেও ২৯ শতাংশ সংখ্য়ালঘু ভোট তৃণমূলের দখলে ছিল।                                              


এই প্রেক্ষাপটে, এবার তৃণমূলের দখলে থাকা সংখ্য়ালঘু ভোটে ভাগ বসাতে আসরে নামল বিজেপি। ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য মাফুজা খাতুন বলেন, 'তৃণমূল তো বিজেপিকে অ্য়ান্টি মুসলমান বলে প্রচার করছে। ওরা সংখ্যালঘু ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, বিজেপি কখনওই সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। মোদি বলেচেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। মুসলিমরা সেই তিমিরেই আছে। মাদ্রাসা নিয়োগ বন্ধ। কেন্দ্রের প্রকল্পের পয়সা খেয়ে নিচ্ছে। আমরা বোঝাতে পারছি।' 


আরও পড়ুন, 'ছাত্রও জুটবে না, বাদাম বেচতে হবে', সৌগতকে কটাক্ষ মদনের, অভিষেকের নারদ-মন্তব্যে টানাপোড়েন তৃণমূলে


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, 'বিজেপি সব জায়গায় ভাগাভাগির রাজনীতি করে। সংখ্যালঘু উপর পিরীত দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা যে কতটা পাশে সবাই জানে। বিজেপির ধর্মান্ধতার রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দেবে।'  


সবমিলিয়ে, প্রশ্ন এখন জনসংযোগে শান দিয়ে কোচবিহারে সংখ্যালঘুদের মন জিততে পারবে গেরুয়া শিবির? উত্তর সময়ের গর্ভে।