শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে (Post Poll Violence) ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। বিজেপি নেতা- কর্মীদের মারধর, ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (Trinamool Congress)বিরুদ্ধে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মারধরের ছবি। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল দাবি করেছে, বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই হামলা হয়েছে।
ফের উত্তপ্ত দিনহাটা: রাস্তায় ফেলে লাথি, ঘুষি, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার, ওঠার চেষ্টা করলে ফের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে এলোপাথাড়ি কিল, চড়। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের এমনই ভয়াবহ ছবি ধরা পড়ল কোচবিহারের দিনহাটায়। বিজেপি কর্মীদের ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধেয় দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের চৌধুরীহাটে বিজেপির ওই অঞ্চলের আহ্বায়কের বাড়িতে বৈঠক চলছিল। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বিজেপি নেতা, কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতী। ছুরি দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, এলোপাথাড়ি কোপে জখম হন বিজেপির চৌধুরীহাট অঞ্চলের আহ্বায়ক সুব্রত দে সরকার ও বিজেপি কর্মী আব্দুল মিয়া।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে অশান্তির এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের এই জেলা। বোমাবাজি, খুনোখুনি বাদ যায়নি কিছুই। ভোটের ফল ঘোষণার পরও কোচবিহারে অশান্তি থামছে না। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই সাহেবগঞ্জ থানা এলাকাতেই পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। আর এবার বিজেপি নেতা কর্মীদের এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের পরেও কোচবিহারের দিনহাটায় চলছে দলবদল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। ভোট মিটতেই রাজ্যের মন্ত্রীর হাত ধরে ফিরলেন পুরনো দলে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নিশীথ প্রামাণিকের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি মফিজুল হক। সেইসময় উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছিলেন ক্ষোভ। ভোটপর্ব চুকতেই সেই উদয়নের হাত ধরেই পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন একদা বিক্ষুব্ধ নেতার। রাজনীতি নয়, অভিমানে দল ছেড়েছিলাম, দাবি তৃণমূলে যোগদানকারী নেতার। ভয় দেখিয়ে দলে ফিরিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ করেছে বিজেপি। গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: সমকামী কি না জানতে চেয়ে বারবার হেনস্থা ছাত্রকে! যাদবপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য