শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: দিনহাটায় (Dinhata) হাসপাতালে ঢুকে সুপারের সামনেই ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠায় তা খতিয়ে দেখতেই হাসাপাতালে আসেন তাঁরা। সেখানে এসে হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ঠিক মতো কাজ না করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ জন ডাক্তারকে শোকজ করা হবে বলে দাবি সুপারের। 


ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার: সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে সরাসরি হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আর জি কর-কাণ্ডের পর যখন রাজ্য জুড়ে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের এই ছবি সামনে আসার পর শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল সুপারের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার তারা দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসকদের দেরি করে আউটডোরে আসা, রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা না করার ছবি উঠে আসে সেখানে। আর তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসককে হুমকি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। দিনহাটা শহর তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশু ধর বলেন, "আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না রোগীকেও আর রোগীর পরিবার, একটা বাচ্চা এসেছে তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকারি চাকরি করে! এটা কী ধরণের ভদ্রতা?'' দিনহাটা পুরসভার সহ সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, "আপনাদের জন্য় আমাদের সরকারের মাথা নত হচ্ছে। আপনাদের জন্য়। এরপর কিন্তু আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম।''

চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যখন কর্তব্যরত চিকিৎসককে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাসপাতালের সুপার। উল্টে তিনিও প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়েই।  প্রশ্ন হচ্ছে, ডাক্তাররা সময়মতো আসছেন কিনা বা ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন কিনা, তা দেখার জন্য তো স্বাস্থ্য দফতর রয়েছে। তাহলে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বা শাসকদলের পুরসভার চেয়ারম্যান চিকিৎসারত ডাক্তারকে আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কে? যদিও এই ঘটনায় নিজেদের অবস্থানে অনড় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, "আজকে এক রোগীকে নিয়ে যাই না দেখেই ভর্তি নেওয়া হয়। আমাদের বদনাম হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা ওয়ার্নিং দিয়ে দিলাম।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।     


আরও পড়ুন: Kalna Student Death: স্টেশনের দিকে কেন গিয়েছিলেন ছাত্রী? কালনার ঘটনায় ৩২ মিনিটেই লুকিয়ে রহস্য