দিনহাটা: লোকসভা ভোটের (Loksabha Election 2024) আগে উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিকের বিবাদ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র দিনহাটা। এই পরিস্থিতিতেই, থমথমে দিনহাটায় গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)।
দিনহাটায় রাজ্যপাল: একেবারে সম্মুখসমরে রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামানিকের বিবাদ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র দিনহাটা। এই পরিস্থিতি থমথমে কোচবিহারে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনেই সন্ত্রাস রুখতে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ভ্রাম্য়মাণ রাজভবন হিসেবে রাস্তায় ঘুরবেন। তার ৩ দিনের মাথায় কোচবিহারের দিনহাটার ঘটনায় গ্রাউন্ড জিরোয় নামলেন রাজ্যপাল। দিনহাটা চৌপতি এলাকা যান রাজ্যপাল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে কথা বলেন।
কী জানালেন রাজ্যপাল?
এদিন সি ভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। রাজ্য পুলিশের DG-র কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। এক্ষেত্রে আমার স্পষ্ট মতামত হল, নির্বাচন চলাকালীন কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এর পুনরাবৃত্তি হবে না, এটা একটা অঙ্গীকার।’’
এদিকে, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বুধবার, ২৪ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় তৃণমূল। সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি কোনও বাসই চলছে না। দোকানপাটও খোলেনি, বাজারও বন্ধ। সব মিলিয়ে শাসকদলের ডাকা বন্ধের জেরে নাজেহাল দিনহাটার বাসিন্দারা। এরপর, ১০ ঘণ্টাতেই বিকেল ৪টে নাগাদ বন্ধ প্রত্যাহার করে নেয় তৃণমূল। এদিনই বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরেও ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশ বাধা দিলে, রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশের ব্য়ারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ব্য়ারিকেডের উপরে উঠে পড়েন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিন দিনহাটা থানায় যান উত্তরবঙ্গের IG রাজেশ যাদব ও DIG জলপাইগুড়ি রেঞ্জ সন্তোষ নিম্বলকর।
আরও পড়ুন: Weather Update: ফের পারদ পতন! মার্চে সবচেয়ে কম সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নয়া রেকর্ড