EV Production: ভারতে দিন দিন বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বিপুল হারে বেড়ে চলেছে। সরকারের তরফেও সবুজ শিল্পায়নের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারা দেশজুড়ে ১৫০টিরও বেশি ইভি নির্মাতা স্টার্ট আপ সংস্থা গড়ে উঠেছে। বুধবার এ বিষয়ে একটি সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ পায় আর তাতেই বৈদ্যুতিন গাড়ি নির্মাতা সংস্থার (India EV Production) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে।


বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী সংস্থা বার্নস্টেইনের একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, ভারতের ইভি সেগমেন্ট (India EV Production) আগামী ১০ বছরে ১৫-২০ মিলিয়ন ইউনিট বার্ষিক ইভি বিক্রিতে পৌঁছাবে এবং ইভির বাজার প্রায় ১৫-২০ গুণ বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যে ৬৫টি মডেল ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মডেলই বৈদ্যুতিন গাড়ি। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু কিছু স্টার্টআপ এই ইভি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত।


জানা গিয়েছে, গড়ে এখন যে সমস্ত ইভি বাজারে আসছে, সেখানে ২০২২ সালে ২.৩ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক ছিল আর এখন অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকে বদলে গিয়েছে। নতুন ইভি নির্মাণ নীতির অধীনে আরও কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্র সরকার এই ইভি  নির্মাণ নীতির বদল এনেছে। এর ফলে শুধু যে বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থাদের ভারতে আনার চেষ্টা করা হবে, তাই নয় বরং আভ্যন্তরীণ বাজার ভাল করার চেষ্টাও করা হবে। এই নতুন ইভি নীতির ফলে ভবিষ্যতে ভারতে বিদেশি ইভি নির্মাণকারী সংস্থার কারখানা গড়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।


এই নীতিতে বিদেশি সংস্থাগুলিকে ন্যূনতম ৪১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ভারতে। এমনকী এর মধ্যে দিয়ে দেশের মধ্যেই তাঁদের ইভি নির্মাণ করতে হবে। তিন বছরের মধ্যে দেশে কারখানা গড়ে তুলতে পারলে সরকারের তরফে রফতানি শুল্কে বিপুল ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।


ভারতের বৈদ্যুতিন গাড়ির বাজার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সবুজ যাতায়াত ও সবুজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একাধারে ইভি নির্মাণের পাশাপাশি চার্জিং পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথাও ভাবা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ১ কোটি ইভি নির্মাণ হবে। ৫ কোটি কর্মসংস্থান হবে, এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতীন গডকড়ী।


আরও পড়ুন: 


Car loan Information:

Calculate Car Loan EMI