শুভেন্দু ভট্টাচার্য,  কোচবিহার : কোচবিহারে তৃণমূলের কোর কমিটি নিয়ে বিতর্ক। জেলা চেয়ারম্যানের দাবি, নতুন কোর কমিটির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি কমিটিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম না থাকা নিয়েও, সংশয় প্রকাশ করেছেন। যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা সভাপতি। কমিটি-বিতর্কে শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।


কোচবিহারে জেলা তৃণমূলের নতুন কোর কমিটিতে ১১ জনের তালিকায় নাম নেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের! কোচবিহারের পুরপ্রধান হিসেবে তাঁকে রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে! আর এরপরই তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, আমি এখন মুক্ত বিহঙ্গ।


যা নিয়ে কোচবিহারে শাসকদলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জোর টানাপোড়েন! মুখ খুলেছেন, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, রবি ঘোষ কেন নেই তাও ভাবতে পারছি না।


জেলায় দলের কোর কমিটি থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভ থেকেই কি এমন পোস্ট করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ? যদিও এবিষয়ে তাঁকে ফোন করা হলেও, কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি কোর কমিটি গঠন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। যার কেন্দ্রে রয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সই করা প্যাড। যেখানে কোচবিহারে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের নাম লেখা প্যাডে, তারিখ রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারির। আর এই তারিখ উল্লেখ করে জেলা তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যানের দাবি, ২৮ ফেব্রুয়ারিতে জেলা সভাপতি পদে তিনিই ছিলেন। অথচ, এই বিষয়ে বিন্দু বিসর্গ জানতেন না। পাশাপাশি, বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় কী করে সেইসময় কোর কমিটির আহ্বায়ক হন, সেনিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি সভাপতি ছিলাম, আমাকে না জানিয়ে কোর কমিটি গড়া হয়েছে, এনিয়ে আমার ধোঁয়াশা রয়েছে কোর কমিটির সত্যতা নিয়ে। আমার সময়ে বক্সীবাবুর উপস্থিতিতে ১৩ জনের কমিটি হয়েছিল, কিন্তু আমিই সভাপতি থাকাকালীন নতুন করে কীভাবে কমিটি হয় ? কীভাবে পার্থ আহ্বায়ক হয় ?


এ নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই, বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, সুব্রত বক্সীর সই করা প্যাডে ভুলবশত ২৮ মার্চের বদলে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে কিছু বলেননি। আমাকে সুব্রত বক্সী জানিয়েছেন ২৮ মার্চের বদলে ভুল ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ লেখা হয়েছিল, কারোর কোনও প্রশ্ন জাগলে সুব্রত বক্সীকে ফোন করতে পারেন।


কোচবিহার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, এই দলের একটাই পদ, কখন কে সভাপতি হবেন বলা যায় না, কাল পার্থ হয়তো সাইড হয়ে যাবে।


সব মিলিয়ে তৃণমূলের কোর কমিটি গঠন নিয়ে সরগরম কোচ রাজার জেলা।