সাহেবগঞ্জ (কোচবিহার) : প্রেমিকের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন তরুণী। অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফের হাতে আটক। পরে বাংলাদেশি তরুণীকে গ্রেফতার করে কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ধৃত তরুণী জেরায় জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পরিচয় হয় ভারতীয় যুবকের সঙ্গে। ফোন নম্বর বিনিময়ের পর আলাপ গড়ায় প্রেমে। বাংলাদেশের (Bangladesh) বগুড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীর দাবি, ইতিমধ্যে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। এরপরই দেশ ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
গতকাল কোচবিহারের দিনহাটার দিঘলটারিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India-Bangladesh Border) তরুণীকে আটক করে বিএসএফ (BSF)। পুলিশের দাবি, জেরায় তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিক তুফানগঞ্জের (Tufangunj) বাসিন্দা।
আরও পড়ুন ; অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
গত ডিসেম্বরেই নাকা চেকিংয়ের সময় গ্রেফতার হয় বাংলাদেশের একাধিক নাগরিক। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ বাংলাদেশের ৫ নাগরিককে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। কাজের সন্ধানে তারা ভারতে ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। ধৃতদের নাম- লিটন শেখ,হৃদয় শেখ, যুবাইদুল শিকদার, আনারুণ মিঞা, পারভিন বেগম।
ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে সীমান্তের খারিজা বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাস পাড়া মোড় থেকে ধরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের নারালি জেলায়। পাচারকারীদের সহযোগিতায় তারা বুড়ির জোত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ নাকা চেকিং করে ৫ জনকে ধরে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসে করে আসছিল। হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়িগামী NBSTC বাসে করে শিলিগুড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
ডিসেম্বরেই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) আটক করা হয় একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে। আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করায় বঙ্গোপসাগরে আটক করা হয় ট্রলারটিকে। গ্রেফতার হয় ১৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। ধৃতরা বাংলাদেশের পটুয়াখালি জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা রুজু হয়।