শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের মত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এজেন্সি সার্ভে? জল্পনা বেড়েছে কোচবিহারের দুই তৃণমূল নেতার বক্তব্যে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই হেফাজতে। স্কুলে নিয়োগ থেকে শুরু করে গরু, কয়লা পাচার দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক-তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগছে বিরোধীরা।
পঞ্চায়েতেও ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। এই আবহে আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ প্রার্থী প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল কোচবিহারের তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে।
কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়, ২ হাজার ৪২৩টি বুথ আছে। একটা বুথেও প্রার্থী আমি ঠিক করতে পারব না। আমি জেলা সভাপতি বলছি। দল আলাদা এজেন্সি দিয়ে রিপোর্ট নেবে। যাঁরা যাই করুন, এলাকার প্রার্থী তালিকায় প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম প্রস্তাব করবেন, সেই মানুষটার ওপর এলাকায় সার্ভে হবে। তাতে যে মানুষটাকে দল স্বচ্ছ বলে মনে করবে, দল বলতে কোচবিহার না, দল বলতে কলকাতা, কালীঘাট এবং ক্যামাক স্ট্রিট, দল বলতে তাঁরা যা ঠিক করবেন, তপসিয়া যা ঠিক করবে, সেখান থেকে নমিনেশন সে পাবে।
দিনহাটা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিধায়ক উদয়ন গুহ বলছেন, এখানকার নেতারা তো দূরের কথা, আমি পর্যন্ত বলতে পারব না যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট পাবে। রাজ্য ঠিক করবে একেবারে নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে। কে কী কাজ করছে, কে মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখছে, কে গোষ্ঠীবাজিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না সব কিছু দেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থীপদ দেবে। তৃণমূলকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।
কোচবিহার বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের কথায়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একই জায়গায় ২-৩টি করে প্রার্থী হবে। তাই আগে থাকতেই এই সব কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে গোষ্ঠীদবন্দ্ব ঢাকতে।
উদয়ন গুহ-র কথায়, বিরোধীরা তাদের মতো কথা বলবে। বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করবে। ওরা কী বলল কিছু যায় আসে না। গত পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের বিরোধ প্রকট হয়েছিল। বহু জায়গায় একই পদের দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল শাসকদলেরই একাধিক ব্যক্তির নাম। পঞ্চায়েত ভোটে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই কি আগাম সতর্কতা ঘাসফুল শিবিরে?