কোচবিহার: এবার কোচবিহারে (Coocbehar) বিজেপির ()BJP নতুন জেলা কমিটি (BJP District Committee) ঘিরে ক্ষোভ। প্রাক্তন জেলা সম্পাদক রাজু রায়কে জয়েন্ট অফিস সেক্রেটারি করায় ফেসবুকে তির্যক মন্তব্য বিজেপি (BJP) নেতার। নতুন কমিটি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ক্ষোভপ্রকাশ দলের একাধিক নেতা, কর্মীর। গতকাল কোচবিহারে (Coochbehar) নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়।
২৪ জনের কমিটিতে ৮ জন সহ সভাপতি, ৪ জন সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জন সম্পাদক রয়েছেন। এবার নতুন করে কমিটিতে ২ জন অফিস সেক্রেটারি রাখা হয়েছে। কমিটিতে জয়েন্ট অফিস সেক্রেটারি হিসেবে তাঁর নাম থাকায় প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ফেসবুকে পোস্ট করেন, আমি মুক্ত বিহঙ্গ। তাঁর কটাক্ষ, নিজেদের দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে নতুন কমিটি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) নতুন জেলা কমিটি (BJP District Committee) নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। ৭ মাস আগে দলত্যাগী নেতার নাম দেখা যায় বিজেপির নতুন জেলা কমিটিতে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি ভাস্কর দে-র (Bhaskar Dey) নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওই নেতা বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকমাস আগেই দল ছেড়েছিলেন। ভাস্কর দে বলেছেন, গত বছরের জুনে বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দলত্যাগ করেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নতুন জেলা কমিটিতে তাঁর নাম রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে গেরুয়া শিবির বলেছে, তাঁর দলত্যাগের বিষয়টি জানা ছিল না। এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
গত বছরের জুন মাসে বিভিন্ন অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি ত্যাগ করেছিলেন ভাস্কর দে । অথচ নব-ঘোষিত বিজেপি জেলা কমিটিতে দলত্যাগী ওই বিজেপি নেতার নাম থাকায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে । ক্ষুব্ধ দলত্যাগী নেতার আইনি নোটিশ পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির নতুন কমিটি ঘোষিত হয়। দেখা যায়, জেলা সভাপতির স্বাক্ষরসহ জেলার সেই ২৫ জনের কমেটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন দলত্যাগী প্রাপ্তন বিজেপি নেতা ভাস্কর দে। ভাস্কর দে-র অভিযোগ, দার্জিলিং জেলা পর্যবেক্ষক থাকাকালীন গত ২২-শে জুন ২০২১ তিনি ই-মেল করে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে দলত্যাগের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি প্রেস বিবৃতি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেনও বলে দাবি তাঁর। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ প্রায় সাত মাস পর হঠাৎ করেই নতুন জেলা কমিটিতে ফোন নম্বরসহ তার নাম থাকায় তিনি হতবাক এবং ক্ষুব্ধ।