কলকাতা: কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, গ্রেফতার বিজেপি বিধায়কের ছেলে। রাস্তায় এখনও পড়ে আছে গুলির খোল। এই পথ দিয়ে বৃহস্পতিবার পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই একেবারে ফিল্মি কায়দায় শ্যুট করা হয় তাঁকে।

তৃণমূলের দাবি, রাত ১০টা, সাড়ে ১০টা নাগাদ ঝিনাইডাঙার পার্টি অফিস থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা ও কোচবিহার ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে। আচমকা একটি সময়ে কালো স্করপিও গাড়িতে করে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার ডান কাঁধে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।                        

কোচবিহার ২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল নেতা ও কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে বলেন, বিজেপি বিধায়ক তাঁর ছেলে এবং তিনি বিভিন্ন সময়ে...এই হামলার কাজ করেছেন। বিধায়ক বলতে এটা আমাদের লজ্জা, একজন জন প্রতিনিধি...তিনি বন্দুকের রাজনীতি যেভাবে করছেন...এটা কোচবিহারের লোক কোনওভাবে মেনে নেবে না।'                          

এদিকে, কোচবিহার উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও সন্ত্রাসের রাজনীতি, খুনের রাজনীতি করে না। ভারতীয় জনতা পার্টিকে ফাঁসাবে সেটা ওদের পরিকল্পনা। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কোনও দিন পারবে না। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে মারামারি করছে।'                        

গুলি চালানোর ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ওই পথ দিয়ে একটি কালো স্করপিও গাড়ি যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি বিধায়কের। কোচবিহার উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায় ও তাঁর গাড়ি চালক উত্তম গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্করপিও গাড়িটিও আটক করা হয়েছে।                       

কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা দু'জনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা একটি অভিযোগও পেয়েছি যেখানে ৪জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করেছি, বাকি দু'জনের খোঁজ চলছে। যে অভিযুক্ত গাড়িতে করে গিয়ে তারা গুলি চালিয়েছিল সেই গাড়িটাও আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি।'