শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : ফেসবুকে কোচবিহারের (Coochbehar) তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সম্পর্কে প্রশস্তি দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর (Udayan Guha)। তাহলে কি কাছাকাছি আসছেন দু’জনে ? শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে এই ফেসবুক পোস্টকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি। আর এনিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহ। দু’জনই কোচবিহারের তৃণমূল নেতা। একজন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি। অন্যজন রাজ্য সহ সভাপতির পাশাপাশি দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কও। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। আর উদয়ন গুহ ২০১৫ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
রবীন্দ্রনাথ-উদয়ন সম্পর্ক -
কোচবিহারে দুই তৃণমূল নেতার অম্লমধুর সম্পর্ক কারও অজানা নয়। এর আগে বহুবার, নাম না করে, একে অপরের দিকে তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, এবার কি কোচবিহারে এই দুই নেতার সমীকরণ বদলাতে চলেছে ?
জল্পনা উস্কে, আচমকাই দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ফেসবুকে লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোচবিহারে তৃণমূলের ভিত তৈরি করার কারিগর। কাজেই ওঁর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আমার নেই। কোচবিহারের প্রতিটি গ্রামে যদি একজন করেও ঘনিষ্ঠ কর্মী কারও থাকে, তাহলে তাঁর নাম রবি ঘোষ। ওঁকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা আমার নেই।
উদয়ন গুহ বলছেন, আমি তো কারও বদনাম করিনি। কারও দিকে চলে গেলাম তা তো নয়। রাজনীতিতে সব সম্ভব। রাজনীতিতে অনেক সময় মতবিরোধ হয়, কিন্তু তা তো চিরস্থায়ী নয়।
এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, উনি আমার পুরনো বন্ধু। দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ওঁর মূল্যায়নকে সম্মান জানাই।
তবে, এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, কী পোস্ট করেছেন দেখিনি। একটি পোস্টের বিভিন্ন অর্থ হতে পারে।
এদিকে এবিষয়ে কটাক্ষ করে কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, সার্কাস চলছে। কখন কে আপন, কে পর বোঝা যায় না। পঞ্চায়েত ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই হয়তো এমন মন্তব্য।
সবমিলিয়ে উদয়ন গুহর ফেসবুক পোস্টে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের প্রশস্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।