কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নথ (Krishnakumar Kunnath)। কলকাতার নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) আয়োজিত কলেজ ফেস্টে অনুষ্ঠান করছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তারপর মৃত্যু। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কে কে (KK)। জনপ্রিয় এই গায়কের অকাল মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায়।


উদ্যোক্তাদের দাবি-


মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে এসে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। এরপর থেকে হোটেলে ফিরে যান কে কে। সেখান থেকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের হলে কত জন দর্শক ধরার জায়গা ছিল, কত জনকে ঢুকতে দেওয়া  হয়েছিল, কত টনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চলছিল, অত সংখ্যক মানুষের জমায়েতের জন্য তা আদৌ কার্যকর ছিল কিনা, অনুষ্ঠান হলের ভিতর অক্সিজেনের মাত্রা কত ছিল, সব কিছু খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।


আরও পড়ুন - Top Entertainment News Today: একনজরে আজকের সেরা বিনোদনের খবরগুলি


কে কে-র অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের দাবি, ৩ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু প্রচুর ভিড় হয়েছিল। ভিড় সামলাতে গিয়ে কয়েকজন আক্রান্ত হন। অডিটোরিয়ামে এসি চলছিল। শিল্পী অনুষ্ঠান শেষ করে হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যান। দাবি উদ্যোক্তাদের।  কে কে-র মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে কে-র সহকারী এবং হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।


জানা গিয়েছে, নজরুল মঞ্চ থেকে কনসার্ট সেরে রাত ৯টা ১০ মিনিটে হোটেলে ফেরেন কেকে। লিফটে ওঠার আগে কয়েকজন ফ্যানের সঙ্গে সেলফিও (Selfie) তোলেন কেকে। লিফটে (Lift) ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কে কে, ঝুঁকে যায় মাথা। হোটেলের ঘরে ঢোকার পরেই সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান কে কে। সোফায় বসার সময় পড়ে গিয়ে টেবিলে মাথা ঠুকে যায় কে কের। কে কে-কে অসুস্থ হতে দেখে ছোটাছুটি শুরু করেন ম্যানেজার। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন হোটেলকর্মীরা, খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় হোটেলের গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআইতে। চিকিৎসকের পরামর্শে সঙ্গে সঙ্গে কে কে-কে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই সঙ্গীতশিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।