শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Coochbehar) তৃণমূল নেতা (TMC Leader) রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) ও পার্থপ্রতিম রায়ের (Parthapratim Roy) বিরোধ চরমে! ৬ বছর আগে লোকসভা উপনির্বাচনে নাম সুপারিশ করাটা ঐতিহাসিক ভুল ছিল! গোখরোকে বিশ্বাস করা গেলেও, ওঁকে বিশ্বাস করা যায় না! নাম না করে পার্থপ্রতিম রায়কে আক্রমণ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ! পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতিও।


তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, ’১৬ সালের একটা উপনির্বাচন, লোকসভা, যেটা ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যে। আমি একটা ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটা গোখরো সাপ- তাকেও বিশ্বাস করা যায়। তাকে নিয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়া যায়। কিন্তু যার জন্য সুপারিশ করেছিলাম, তাকে আজ আর বিশ্বাস করা যায় না। 


কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়ের বিরোধ আরও চরমে। এবার প্রকাশ্য সভায় নাম না করে দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তুলনা টানলেন গোখরো সাপের সঙ্গে। সুর চড়িয়ে পাল্টা বার্তা দিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।


কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, কেউ কেউ সভাপতি হয়েও, সভাপতির ডাকে মিছিলে না গিয়ে অন্য মিছিলে হাজির হয়েছে, আমি দলের জেলা সভাপতি মিটিং আহ্বান করেছি। আপনি ২-১ জন লোক নিয়ে চামচাগিরি করতে যাবেন, এটা হতে পারে না। 


সম্প্রতি, কোচবিহারে জেলা তৃণমূলের নতুন কোর কমিটিতে ১১ জনের তালিকায় জায়গা পাননি প্রাক্তন মন্ত্রী ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। যার পরে তাত্‍পর্যপূর্ণ বার্তা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমি এখন মুক্ত বিহঙ্গ। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন!


বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Coochbehar) তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছের সভায় দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের উপস্থিতিতেই জেলা সভাপতির নাম না করে তীব্র আক্রমণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, পুঁটিমাছের প্রাণ যতক্ষণ, সভাপতিও ওই ততক্ষণ মনে রাখবেন পুঁটিমাছের প্রাণ যতক্ষণ সভাপতিত্বও ওই ততক্ষণ আগে একবার হয়ে এক বছর, এবার বছর পুরো করতে পারবে না।


কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে এই টানাপোড়েন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।২০২৩-এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের এহেন টানাপোড়েন থামাতে দল কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার।