শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বৈদ্যুতিক ডিভিশনের বক্সিরহাট ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশনের পাওয়ার বক্সে কাজ করতে গিয়ে সার্কিট বক্স ব্রাস্ট হয়ে গুরুতর আহত তিন। বিস্ফোরণে আহত ওই তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পরবর্তীতে কুচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ, বক্সিরহাট পওয়ার সাব স্টেশনে মেন বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে সার্কিট বক্সের গোলযোগ ঠিক করতে যায় কোচবিহার থেকে আসা তিন জন লাইন অপারেটর। সেই সার্কিট বক্সে কাজ করতে গিয়েই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে আহত হয় উৎপল সরকার, বাপন দাস, ও বাসুদেব মাইতি নামে ওই তিন ব্যক্তি। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দৌড়ে আসে সাব-স্টেশনে থাকা অন্যান্য কর্মীরা, তাদের উদ্ধার করে পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
এর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন হরিদেবপুরে এক ব্যক্তি গত মাসে। যেই ঘটনায় রাজ্য বিদ্যুত্ পর্ষদের ৩ কর্মীকে শোকজ করেছিল বিদ্যুত্ দফতর। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কীভাবে ছিঁড়ল বিদ্যুতের তার, এ ব্যাপারে ৩ কর্মীর জবাব তলব করা হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন ত্রাণ পৌঁছে দিতে। কিন্তু ভাবেননি, নিজের জীবনে নেমে আসবে এই দুর্যোগ। বৃহস্পতিবার রাতে হরিদেবপুরের ২২ বিঘার কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান মানিক বারুই নামের এই ব্যক্তি।
পরিবার সূত্রে খবর, তিনি পেশায় ড্রাইভার। গাড়ি নিয়ে গেছিলেন ত্রাণ পৌঁছে দিতে। কাজ শেষ হতেই, ফিরছিলেন বাড়ি। স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছিলেন, শিগগির ফিরছেন... কিন্তু তা আর হল না। আচমকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বছর ছত্রিশের বাইকচালকের উপর। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মানিক বারুই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। ৮ বছরের আগে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মা ও বোনের মৃত্যু হয়। তিনিও চলে যাওয়ার পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছিল মানিক বারুইয়ের বাবা।