রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর : কল সেন্টারের (Call Centre) আড়ালে চলছিল প্রতারণা চক্র। বিদেশী নাগরিকদের ভুল বুঝিয়ে চলছিল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা। এবার সেক্টর ফাইভ থেকে গ্রেফতার ভুয়ো কল সেন্টার মামলার মূল পাণ্ডা। ধৃত পঙ্কজ কুমার সিংহকে আজ আদালতে তোলা হবে।


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৯ অগাস্ট সল্টলেকের (Salt Lake) সেক্টর ফাইভ এলাকার ডিএন ২৪-এর একটি অফিসে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Cyber Crime)। ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর পুলিশের কাছে প্রতারণা চক্রের দুই মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার সিংহ এবং বৃজেশ কুমার সিংহ নামে দুই ব্যক্তির নাম উঠে আসে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালিয়ে গতকাল সল্টলেক থেকেই এক অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু অন্য অভিযুক্ত বৃজেশ কুমার সিংহ এখনও পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। 


আরও পড়ুন - Behala Double Murder Case: বেহালায় জোড়া খুনে রহস্য, দুপুরে কেন ফোন বন্ধ ছিল মহিলার স্বামীর? উত্তর খুঁজছে পুলিশ


স্থানীয় সূত্রে খবর, সল্টলেকে অফিস খুলে কল সেন্টারের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে এই প্রতারণা চক্রের খবর আসে। এরপরই প্রতারকদের ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, ওই কল সেন্টার থেকে মূলত বিদেশী নাগরিকদের নম্বর এবং তথ্য সংগ্রহ করা হত। পরবর্তীকালে তাঁদের মেল আইডি এবং ফোন নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হত যে, কোনও ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে তাঁরা কিছু জিনিস কিনেছিলেন এবং সেই কারণেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই বিদেশী নাগরিকরা টাকা কেটে নেওয়া যথাযত কারণ জানতে চাইতেন। এবারই শুরু হত প্রতারণার কাজ। তখন সেই ব্যক্তিদের একটি ফোন নম্বর দেওয়া হত এবং সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হত। প্রতারিত ব্যক্তিরা যখনই ওই নম্বরে যোগাযোগ করতেন, তখনই তাঁদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই প্রতারণার চক্রের মূল পাণ্ডা পঙ্কজ কুমার সিংহ আদতে চিৎপুরের বাসিন্দা। গতকাল সল্টলেক থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মূলত কল সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করত ওই ব্যক্তিষ কিন্তু অন্য আর এক অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত পলাতক। তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।


ভুয়ো কল সেন্টার মামলা কান্ডে এর আগে আরও দশজনকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই দুই মূল অভিযুক্তর নাম উঠে এসেছে।