শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: চা শ্রমিকদের সমস্যা, তাঁদের দাবি আদায়। সেই ইস্যুতে একসঙ্গে দেখা গেল পরস্পরবিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনকে। একযোগে আন্দোলনে নামল তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন। এই ছবি দেখা গেল কোচবিহারের মাথাভাঙার দোলং চা বাগানে। তিন সংগঠনেরই দাবি, শ্রমিকদের স্বার্থেই একযোগে পথে নেমেছে তারা। শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি দেওয়ার দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন।


আন্দোলনে 'ঐক্য':
রবিবার সকালে শ্রমিক আন্দোলনে ঐক্যের ছবি দেখা গেল কোচবিহারের মাথাভাঙার দোলং চা বাগানে। একযোগে বিক্ষোভ দেখাল তিন যুযুধান শ্রমিক সংগঠন। তৃণমূলের আইএনটিটিউসি, বিজেপির শ্রমিক সংগঠন এবং সিপিএমের সিটু।


কী অভিযোগ:
আন্দোলনকারীদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি শ্রমিকের সরকার নির্ধারিত ২০২ টাকা করে প্রতিদিন মজুরি পাওয়ার কথা।  কিন্তু, দোলং চা বাগানের শ্রমিকরা পাচ্ছেন ১৯৩ টাকা করে। বাকি টাকা দেওয়ার দাবিতেই এদিন যৌথভাবে আন্দোলনে নামে তিনটি শ্রমিক সংগঠন।


নেতাদের দাবি:
আইএনটিটিইউসি-এর দোলং চা বাগান ইউনিটের সম্পাদক দীনেশ বর্মন বলেন, 'আমাদের দাবি শ্রমিকদের স্বার্থে আন্দোলন করছি, পরিস্থিতি আমাদের একসঙ্গে আন্দোলন করতে বাধ্য করেছে।' স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য দেখা গিয়েছে এই নিয়ে। কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, 'শ্রমিকদের কোনও রং হয় না, তাঁরা নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, এতে অন্যায়ের কিছু নেই, তবে রাজনৈতিকভাবে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে যে লড়াই তা চলবে।' কোচবিহার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, 'রুজিরোজগারের জন্য বিজেপি রাজনীতি করে না, তাতে যদি অন্য দল আসে তাতে আপত্তি নেই, বিজেপি তাদের আন্দোলন চালাবে।' শ্রমিকদের স্বার্থে দল না দেখে, সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলছেন সিটুর জেলা সভাপতিও। কোচবিহারে সিটু সভাপতি তারিণী রায় বলেন, 'দাবি আদায়ে যৌথ কমিটি হয়েছে, সবাই মিলে আন্দোলন করছে, দাবি আদায়ে সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন জরুরি।'


কী বলছে বাগান কর্তৃপক্ষ:
শ্রমিক সংগঠনগুলির তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দোলং চা বাগান কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষস্তরে ফের বদলি, পিছনে কী কারণ?