কোচবিহার: খেলা হবে দিবস উদযাপন ঘিরে কোচবিহারে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে 
অঞ্চল সভাপতিকে বিঁধলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি। শাসকদলের মাদার-যুব দ্বন্দ্ব কি নাটাবাড়িতেও খাতা খুলল? উঠছে প্রশ্ন। 


রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় জেলায় পালিত হয়েছে খেলা হবে দিবস। অনুষ্ঠানের সূচনায় অংশ নিলেন তৃণমূলের নেতা-বিধায়করাও। সরকারি অনুষ্ঠানে দলের নেতারা কেন? প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ বিজেপির। রাজনীতি দেখা ঠিক নয়। পাল্টা জবাব তৃণমূলের। খেলা হবে দিবস ঘিরে এদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। নন্দীগ্রামেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বাঁধে। পৃথকভাবে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে তৃণমূলের দুই শিবির। এ নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


১৬ই অগাস্ট খেলা হবে দিবস পালন করল তৃণমূল। কলকাতা থেকে জেলা। এমনকী প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাতেও পালিত হল খেলা হবে দিবস।  তবে, এরইমধ্যে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে, কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে রাজারামচকে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। এর মূল উদ্যোক্তা, নন্দীগ্রামের ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। 


অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ব্লক যুব তৃণমূলের তরফে, ডগলাস মাঠে আরেকটি কাবাডি ও ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেটির উদ্যোক্তা নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা সহ সভাপতি। আর এনিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু দ্বন্দ্ব। 


নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সহ সভাপতি আবু তাহের জানান,  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এখানেই বিধানসভার সব এলাকার ফুটবল টিম নিয়ে খেলা দিবস পালন করছি। কে কোথায় করছে, জানি না। 


এদিন খেলা হবে দিবস উদযাপন কলকাতা পুরসভার ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। অংশ নিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার। শাড়ি পরে ফুটবল পায়ে মাঠে নামলেন ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহিলারাও।  


নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি, স্বদেশ দাস জানিয়েছেন, যারা যারা মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তারাই কোথাও কোথাও এই ধরনের কাজ করছে।


তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পালের দাবি, 'নন্দীগ্রামের দুই শিবিরের এই আলাদা আলাদা খেলা দিবস পালন আদতে শাসকেএ গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে চরমে তা প্রকাশ পেলো।