ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: চিনে (China) ফের করোনার (Covid Situation) বাড় বাড়ন্ত। এদেশেও চিন ফেরত নাগরিকের শরীরে মিলেছে নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্টের (New sub variant) হদিশ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলির অক্সিজেন পরিষেবা (oxygen supply) ঠিকমতো রয়েছে তো? জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। সোমবার রাতেই চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)।
রাজ্যের অক্সিজেন-তথ্য যাচাই
করোনার তিন তিনটে ঢেউয়ে, ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে, করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার দেখেছে মানুষ। নাকে নল দেওয়া রোগী, সেই দুঃসহ সময়ের স্মৃতি এখনও সবার মনে টাটকা। ফলে করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ মেলার পর থেকে, সতর্কতায় কোনও ফাঁক চাইছে না কেন্দ্র।
রাজ্য়গুলির কাছে তারা জানতে চেয়েছে, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের অবস্থা কেমন? অক্সিজেন সরবরাহ পরিষেবা যাতে মসৃণ থাকে রাজ্যগুলিকে সেভাবে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার ডেলটা ওয়েভের পরই, এরাজ্য়ের প্রায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সিলিন্ডারের পাশাপাশি, বেডে অক্সিজেনের পাইপলাইনের ব্য়বস্থা করা হয়।
এছাড়াও কোথাও কোথাও রয়েছে লিক্য়ুইড অক্সিজেন ট্য়াঙ্ক ও Pressure swing adsorption, সংক্ষেপে PSA অক্সিজেন প্লান্ট। কোভিড কালে, কেন্দ্রের সাহায্যে রাজ্যে, ৪৯টি PSA প্লান্ট চালু করা হয়। স্বাস্থ্য় দফতর জানিয়েছে, এই সমস্ত প্লান্টই ঠিকঠাক কাজ করছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্য়বস্থা রয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের এখানে ট্য়াঙ্ক আছে। অক্সিজেন আছে। এখনও পর্যন্ত কোনও গন্ডগোল নেই।' একই দাবি জানিয়েছে নীলরতন সরকার মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালও। এনআরএসে লিক্য়ুইড অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে। পিএসএ রয়েছে। দুটোই সক্রিয়। একইসঙ্গে সিলিন্ডারেরও ব্য়বস্থা আছে। হাসপাতালে পরিষেবা সক্রিয় রয়েছে। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, PSA plant থেকে লিক্য়ুইড অক্সিজেন ট্য়াঙ্ক, সমস্ত কিছুই সক্রিয় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন কোনও করোনা আক্রান্ত এলে, তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এম আর বাঙুর ও এসএসকেএম দুটো হাসপাতালেই লিক্য়ুইড অক্সিজেন ট্য়াঙ্ক সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথাও পরিকাঠামোগত বা প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা দেখার কাজ চলছে। সোমবার রাতের মধ্যেই এই নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।