ঝিলম করঞ্জাই ও অনির্বাণ বিশ্বাস,  কলকাতাআজ থেকে শুরু হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া। কলকাতার সমস্ত টিকাকেন্দ্রে এই ডোজ পাবেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স ও ষাটোর্ধ্বরা। তবে ককটেল নয়, আগে যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন, বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও সেই ডোজই মিলবে।


রাজ্য...দেশ...থেকে বিশ্ব! করোনা-সংক্রমণের কোপে থরহরিকম্প পরিস্থিতি!উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্যরিয়েন্ট ওমিক্রন!এই পরিস্থিতিতে, করোনাযুদ্ধে নতুন অস্ত্র বুস্টার ডোজ। বড়দিনের রাতে প্রিকশন বা বুস্টার ডোজের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।  তিনি বলেছিলেন, হেলথ কেয়ার ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের প্রিকশন ভ্যাকসিন দেওয়াও শুরু হবে ২০২২-এর ১০ জানুয়ারি, সোমবার থেকে।





দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোমবার থেকে ভারতেও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকে কলকাতার সমস্ত টিকাকেন্দ্রে এই ডোজ পাবেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরা।  ষাটোর্ধ্বদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিনের জন্য যাঁরা যোগ্য তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ইতিমধ্যেই মেসেজ চলে গেছে। মেসেজে ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। 


স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমবার ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় যেভাবে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন গ্রাহকরা। তার ভিত্তিতেই মেসেজ পাঠানো হয়েছে। মূলত সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ২৭৫ দিনের মাথায় বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। বুস্টার ডোজ নিতে আইডি প্রুফ। দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পাঠানো মেসেজ সঙ্গে আনতে হবে।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই মুহুর্তে রাজ্যের হাতে কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আগে যিনি যে ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছেন এবারও সেটাই পাবেন।


চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেছেন, আইডিয়াটা অত্যন্ত ভালো। এতে সংক্রমণের যে রেট সেটাকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে বুস্টার ডোজ নিয়ে একটু সমস্যা আছে। কেন সমস্যা আছে? আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ লোক  কোভিশিল্ড পেয়েছে। বুষ্টিং ব্যাপারটা তখনই এফেক্টিভ হবে যখন ধরে নেওয়া যাক কারো শরীরে অ্যান্টিবডি ১০০। বুস্টার ডোজ নিয়ে সেটা যদি পাঁচ থেকে সাত শতাংশ না বৃদ্ধি পায় তাহলে লাভ হবে না। ডিফারেন্ট ভ্যাকসিন দিলে তবেই বুষ্টিং পাওয়ারটা বাড়ছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের মেইন স্টক হচ্ছে কোভিশিল্ডের। কোভ্যাকসিন খুব লিমিটেড।


বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এনআরএস, আরজিকর -- বুস্টার টিকাকরণে সবরকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


এনআরএস হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন বলেছেন,  সবরকম ভাবে প্রস্তুত। প্রতিদিন ৫০০ জনকে দেব। চিকিৎসক, ফ্রন্টলাইনার, সার্টিফিকেট ও আইডি প্রুফ আনতে হবে।


সবমিলিয়ে নতুন এই অস্ত্র, লড়াইয়ে কতটা শক্তি ও সুরক্ষা জোগায় সেটাই এখন দেখার।