কলকাতা : পুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বেলাগাম ভিড় দেখে চমকে উঠেছিলেন ডাক্তাররা। অবধারিত করোনাগ্রাফ বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ভয় সত্যি করে রাজ্যে ফোর চোখ রাঙাচ্ছে অতিমারী। রোজই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুও। এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে তড়িঘড়ি বেশকিছু এলাকায় বেশ কড়া হয়েছে প্রশাসন।
শুধু বাজার দোকানেই নয়, রীতিমতো ধপদুরস্ত জামাকাপড় পরে সেজেগুজে মাস্ক ছাড়াই বাসে উঠে পড়তেও দেখা গেল কাউকে কাউকে। তাদের দেখে আর ছাড় নয় ! সোজা গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্যে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। বাস থেকে নামিয়ে যাত্রীকে গ্রেফতার করা হল। কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বাসে যাতে মাস্ক ছাড়া কেউ না ওঠে সেই নির্দেশ দেওয়া হয় কনডাক্টরদের। অভিযান চালানো হয় লেকটাউন বাজারেও। বিনা মাস্কে কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা ও বাইক চালককে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় করোনা সংক্রমণ রুখতে আজও তত্পর পুলিশ-প্রশাসন। চলল ধরপাকড়। কোভিড বিধিভঙ্গ করে দোকান খোলা ও বিনা মাস্কে বের হওয়ায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিন গড়িয়া, বোড়াল-সহ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিধিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এই পুর এলাকায় ৩ দিনের জন্য বাজার বন্ধ থাকছে।
বৃহস্পতিবারও একইভাবে চলেছে ধরপাকড়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুরে গ্রেফতার করা হয় ৮৪ জনকে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে গ্রেফতার হয় ৬০ জন। করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। শুরু হয় ধড়পাকড়ও। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় সব বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুর এলাকার ১৯টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাসিন্দারা যাতে করোনা বিধি মেনে চলেন, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায় চলছে পুলিশের টহল, মাইকে প্রচার। বৃহস্পতিবার সোনারপুর বাজার, হরিণাভী, রাজপুর, নরেন্দ্রপুর সহ একাধিক এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। মাস্ক না পরে বেরনোর অভিযোগে সোনারপুর থানা গ্রেফতার করে ৪২ জনকে। আরও ৪২ জনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানা।
তবে রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকায় এদিনও দেখা যায়, অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি সম্পর্কে মাইকে প্রচার করেন সোনারপুর থানার আইসি।