রুমা পাল, এবিপি আনন্দ : কোনা থেকে যানজট এড়িয়ে সোজা NH-6।  ‘সিক্স লেন এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে’ তৈরির কাজ শুরুর তোড়জোড়। বুধবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে হল রিভিউ বৈঠক। 

কলকাতা ও হাওড়া, উভয় শহরের ক্ষেত্রেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।  কলকাতা থেকে NH৬ এর দিকে যাওয়া যানগুলিকে প্রায়ই আটকাতে হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরনোর পর। গণপরিবহণ ও পণ্যবাহী গাড়ি, সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি! দিনের একেকটা সময় এই রাস্তা পের হতে দম ছুটে যায় যাত্রীদের। এই পথকে আরও সুগম করতে তৈরি হচ্ছে সিক্স লেন এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে।  


কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির দৈর্ঘ্য ৬.৮ কিলোমিটার। রাজ্য সরকার, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে PPP মডেলে তৈরি হবে ‘সিক্স লেন এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে’। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এর জন্য ১০.৯৮ একর অধিগ্রহণ করতে হবে।
 
যার জন্য প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। ঠিক কোন পথ দিয়ে যাবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে? কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরনোর পর কোনার কাছে ক্যারি রোডের সামনে থেকে শুরু হবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তারপর - 



  • বেলেপোল

  • ব্যাতড়

  • বাকসাড়া

  • সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ

  • সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাস

  • গড়ফা

  • খেজুরতলা হয়ে

  • ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছবে এটি। 


সাঁতরাগাছিতে রেলওয়ে ব্রিজের পাশ দিয়ে যাবে এই নতুন লেন। আর গড়ফার রেলব্রিজের ওপর দিয়ে যাবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। 



বেলেপোল এবং সাঁতরাগাছিতে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ওঠা এবং নামার র‍্যাম্প থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি তৈরি হয়ে গেলে যেমন যানজটের সমস্যা কমবে, তেমনই গঙ্গা পেরনোর পর দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে NH6-এ।


তবে তার জন্য জমি অধিগ্রহণ, প্রকল্পের প্রস্তাবিত জমিতে থাকা ইনস্টলমেন্টগুলি সরাতে হবে।  প্রকল্পটির ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা DPR তৈরির জন্য ২০১৬ সালে রাইটস-কে নিযুক্ত করে রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।  তারপর প্রকল্পটি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। কিন্তু এখনও কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। সূত্রের খবর, আগামী বছরেই এই ‘সিক্স লেন এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে’ তৈরির কাজ শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য।