সৌভিক মজুমদার, কলকাতা  : গলায় ফাঁস লেগে ঝোলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার। ঝোলার আগে পর্যন্ত দেহে প্রাণ ছিল। হাইকোর্টে বিজেপি যুব নেতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করল আলিপুর ইস্টার্ন কম্যান্ড হাসপাতাল। বিজেপি যুব নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু-মামলায় আজ আদালতে জমা পড়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।


ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ অন্যান্য নমুনা, নথি ও তথ্য রাজ্যের তদন্তকারীদের হস্তান্তরের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপি যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হাইকোর্টে মামলা করেন এক আইনজীবী। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় মৃত বিজেপি যুব নেতার পরিবার।


SIT গঠন
কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়া কি আত্মঘাতী হয়েছেন? না, তাঁকে খুন করা হয়েছে? মৃত বিজেপির যুব নেতার মা-র চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে  সামনে আসে এই প্রশ্ন! কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতার মৃত্যুর তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT গঠন করে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার ও কাশীপুর থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য মৃত বিজেপি যুব নেতার পরিবারকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা তারা প্রত্যাখ্যান করে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া থানায় যেতে রাজি নন তাঁরা। মৃতের মোবাইল ফোন ও ই-মেল আইডির পাসওয়ার্ড চেয়ে, তাঁর পরিবারকে চিঠি দেওয়া হয় SIT-র তরফে। চিঠিটি গ্রহণ করলেও কোনওরকম তথ্য দিতে চায়নি মৃতের পরিবার। কাশীপুরের যুব নেতার মৃত্যু ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


প্রেক্ষাপট
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অর্জুন চৌরাসিয়া। শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই উদ্ধার হয় কাশীপুরের বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়া মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে সেদিনই তুঙ্গে ওঠে তৃণমূল- বিজেপির তরজা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খুন বলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ করেন অমিত শাহ।  পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তিতে জড়ান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিজেপির যুব মোর্চার নেতার রহস্যমৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।  হাইকোর্ট  নির্দেশ দেয়  আলিপুরের সেনা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার।