নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা কেন্দ্রের। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (Sedition Law) পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে জানাল মোদি সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের
হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আইন বিলোপের পক্ষে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মধ্যেই আইন বিলোপ জরুরি। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন একেবারেই অপ্রয়োজনীয়’, মত প্রাক্তন আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের।
‘রাষ্ট্রদ্রোহীদের শাস্তি নিয়ে দ্বিমত নেই। প্রশ্ন এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে’, মন্তব্য কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লর।
কেন্দ্রকে খোঁচা মহুয়া মৈত্রর
‘কায়দা করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সময় কিনছে কেন্দ্র। গোটা প্রক্রিয়াটি হাস্যকর। ১৫০ বছরের পুরনো আইন নিয়ে ৭ বছরের মোদি শাসন। এই সময়ের মধ্যে কোনও পরিবর্তন নেই, অথচ আচমকা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে কেন্দ্র’, ট্যুইটে খোঁচা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর।
ব্রিটিশ জমানার এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এবার এই আইন বিলোপের পক্ষে মতপ্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানায়, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে ১০ মে শুনানি হবে। সেই মতো আজ শুনানিতে হলফনামা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত রাখার জন্যও সুুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্র।
শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বিলোপ করা হবে কি না, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে চলেছে।