রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: ৪ বছরের শিশুকে পুকুরের জলে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তার জেঠিমার বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের রঘুনাথপুর গ্রামের ঘটনা। কিন্তু এই নৃশংস ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর স্বামীকে আটক করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। 


শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ: পুলিশ সূত্রে খবর রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণা গায়েনের চার বছরের শিশুকন্যা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। গতকাল বিকেলে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে ওই শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শেষবার শিশুটিকে তার জেঠিমার সঙ্গে পুকুরের দিকে যেতে দেখেছিল। এরপরই কৃষ্ণা গায়েন ওই শিশুর জেঠিমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এনিয়ে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলা এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


চিকিৎসকের মৃত্যুতে গ্রেফতার এক: এদিকে ব্যারাকপুরে (Barrackpore News) তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার, তাঁর লিভ ইন পার্টনার, সেনাবাহিনীর কর্তা। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest)। ২ দিন আগে, ব্য়ারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রজ্ঞাদীপা হালদার নামে বছর ৩৭-এর ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। তিনি বারাসাতের ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়ার পর এক সেনা কর্তার সঙ্গে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের ওই ফ্ল্য়াটে লিভ-ইন করতেন প্রজ্ঞাদীপা। মৃত চিকিৎসকের পরিবার ওই সেনা কর্তার বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। 


অন্যদিকে  সাতসকালে কলকাতায় উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। গল্ফগ্রিন থানার বিজয়গড়ের কাছে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। দেহের গলা, মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলেই অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ। বিজয়গড় এলাকায় দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিজয়গড়ের একটি বাড়িতে ফাঁকা জায়গায় এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরনে রয়েছে হাফপ্যান্ট। সংলগ্ন বাড়িটির বাসিন্দারা সকালে দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ফাঁকা জায়গায় হাফপ্যান্ট পরনে, খালি গায়ে দেহ পড়ে ছিল। যেহেতু গলায়, মাথায় আঘাত রয়েছে তাতে প্রাথমিকভাবে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ অন্য কোথাও খুন করে এই জায়গায় এনে দেহ ফেলে দেওয়া হতে পারে। আশপাশের এলাকায় কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা খোঁজ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি