সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বাঁশদ্রোণীতে (Bansdroni) যুগলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা (Suicide) বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঠিক কী কী খবর মিলছে?


বাঁশদ্রোণীতে যুগলের রহস্যমৃত্যু


বাঁশদ্রোণীতে যুগলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ব্রহ্মপুরের একটি আবাসনে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। দুই মৃতের নাম ঋষিকেশ পাল, রিয়া সরকার। ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকেই তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 


আত্মহত্যা করার কথা জানিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় ই-মেল করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। ই-মেল পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে ভুগতেই আত্মহত্যা বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা রয়েছে, খবর সূত্রের। 


পুলিশ সূত্রে কী কী জানা যাচ্ছে?


মৃতদেহের পাশ থেকে বেশ কিছু ওষুধের পাতা মিলেছে বলে খবর। ফলে তদন্তকারীদের সন্দেহ তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বাঁশদ্রোণী থানার অফিসিয়াল মেল আইডিতে একটি ই-মেল আসে। সেই মেলে নিজেদের বাড়ির ঠিকানা, নাম উল্লেখ করে লেখেন যে তাঁরা আত্মঘাতী হচ্ছেন। এই মেল পেয়ে তড়িঘড়ি থানার পুলিশেরা বাঁশদ্রোণী থানার ব্রহ্মপুর এলাকার অ্যাপেক্স ম্যানসনে ছুটে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে দরজা খুলে দেখা যায় ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ভিতরে দুই জনের নিথর দেহ মেলে। 


আরও পড়ুন: Body Found in Malda: স্কুলছাত্রীর দেহ উদ্ধার, তোলপাড় মালদায়


তাদের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। যে মেল থানায় পাঠানো হয় এবং দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নোট, দুই জায়গাতেই উল্লেখ করা হয় যে আর্থিক অনটনের কারণে তাঁরা আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এও উল্লেখ করা হয় যে আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁদের ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ছিল, তাও ছেড়ে দিতে হয়। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। রিপোর্টের অপেক্ষায় আপাতত পুলিশ।