করুণাময় সিংহ, মালদা: ত্রিকোণ প্রেম? নাকি অন্য কোনও রহস্য? কেন  নৃশংস ভাবে মরতে হল মালদা (Malda) স্কুলছাত্রীকে (School Student)? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ (Questionning)করে পুলিশ যা জেনেছে, তাতেই শিউরে উঠছেন আম বাসিন্দারা। মেয়ের ভয়ঙ্কর পরিণতির প্রতিকার চেয়েছে পরিবার। 


কী হয়েছিল?


সূত্রের খবর, পুরাতন মালদার হালনা গ্রামের বাসিন্দা ১৬ বছরের ওই স্কুলছাত্রী (School Student) গত ১৮ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল। তন্ন তন্ন করে খোঁজখবর করেও মেয়ের হদিস না পেয়ে শেষমেশ মালদা থানায় অপহরণের অভিযোগ জানায় পরিবার। তার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল। হঠাৎ বুধবার সকালে গ্রামেরই পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে থোকা থোকা রক্তের দাগ  দেখতে পান বাসিন্দাদের একাংশ। খবর যায় পুলিশে। এর পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, বাড়িটি থেকে লেডিজ ব্যাগ, অন্তর্বাস ইত্য়াদি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কিশোরী কোথায়? তা হলে কি খারাপ কিছু ঘটে গিয়েছে?


জল্পনা শুরু হতেই উঠে আসে শামিম আখতারের নাম। ২১ বছরের ওই তরুণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শামিম খুনের কথা কবুল করে। জানায়, কিশোরীকে মেরে গ্রামেরই একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে সে। অতঃপর পুকুর দেহ থেকে উদ্ধার হয় দেহ। গ্রেফতার করা হয় শামিমকে। কিন্তু কে শামিম? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শামিম হালনা গ্রামেরই বাসিন্দা। এক সময় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল বলেও শোনা যায়। তবে হালে অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল কিশোরী। তার জেরেই কি খুন? এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও আপাতত এছাড়া খুনের অন্য কোনও মোটিভ পায়নি পুলিশ, খবর সূত্রে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। 


আগে যা ঘটেছে...


মালদার ঘটনাটির সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের মিল পাচ্ছেন অনেকেই। গত ২ মে খুন হন সুতপা। অভিযোগের আঙুল ওঠে সুশান্ত চৌধুরীর দিকে। খুনের মোটিভ হিসেবে কার্যত এক তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল ওই ঘটনাতেও। বস্তুত, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে নারকীয় হত্যালীলার অভিযোগ হাতেগোনা নয়। কিন্তু কেন বাড়ছে এই প্রবণতা? চিন্তায় আমজনতা।


আরও পড়ুন : সুদ আদায় করতে গিয়ে আর ফিরলেন না মহিলা ! এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ